
সাগরদ্বীপ : সমুদ্রকে বিপণ্মুক্ত করতে সব রকম সতর্কতা নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন পুরীর শঙ্করাচার্য। রবিবার সাগরে সন্ধ্যারতী অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আবেদন করেন।
জগৎগুরু শঙ্করাচার্য বলেন, “সুরক্ষাবর্ম ভেদ করে পাকিস্তানের আতঙ্কবাদীরা এই সমুদ্রপথেই মুম্বইয়ে আঘাত হেনেছিল। সাগরদ্বীপের গঙ্গা প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ। তটে প্রায় দু’লক্ষ লোকের বাস। আছে অনেক গবাদিপশু। নজর রাখতে হবে বিধর্মীরা এখানে যেন দাঁত বসাতে না পারে।”
শঙ্করাচার্য বলেন, “কপিল মুনির আশ্রমকে সব রকম নিরাপত্তা দিতে হবে। পুরাণে এই সাগরের উল্লেখ আছে। এখানে এবং কন্যাকুমারীতে সন্ধ্যারতী করা উচিত। আর, রামেশ্বরমের ব্যাপারেও আমি সতর্ক করে দিচ্ছি। ওখানকার সেতু মানবনির্মিত। নাসা পর্যন্ত স্বীকার করেছে, ওই সেতু সাড়ে সাত লক্ষ বছরের পুরনো।”
শঙ্করাচার্য বলেন, “যত দিন এগুলি সুরক্ষিত থাকবে, তত দিন শিবলিঙ্গ সুরক্ষিত থাকবে। আমি সাঙ্কেতিক আদেশ দিচ্ছি, রামসেতু যেন দ্বিখন্ডিত করার চেষ্টা না হয়। করুণাকরণ, সোনিয়া গান্ধী এই সেতু দ্বিখন্ডিত করার চেষ্টা করেছেন। এতে চিনের মদত ছিল। এই ভাবনা রূপায়ণের চেষ্টা করলে তা বিধর্মীর কাজ হবে। আর্থিক কোনও লাভ হবে না।”
বঙ্গোপসাগরকে নিরাপদ রাখতে সব মহলকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন করেন পুরীর শঙ্করাচার্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন