ঝাড়্গ্রাম : রাজ্যর প্রথম আবাসিক আর্চারি অ্যাকাডেমি চালু হচ্ছে ঝাড়্গ্রামে। আর এই খবর পাওয়ার পরেই ব্যাপক খুশি জঙ্গলমহলবাসী। এই অ্যাকাডেমিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচিত তীরন্দাজরা খুব শিঘ্রই প্রশিক্ষন নিতে পারবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ জানুয়ারি রাজ্যের মধ্যে প্রথম এই অ্যাকাডেমি চালু হতে চলেছে ঝাড়্গ্রামে। এলাকার বাসিন্দাদের আশা এবার অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত দক্ষ তীরন্দাজরা অলিম্পিক সহ বিশ্ব কাঁপাবে। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে ১৪ জুলাই ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা স্টেডিয়ামের কাছেই আর্চারি অ্যাকাডেমিটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষ তীরন্দাজ তুলে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায় রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম আর্চারী অ্যাকাডেমিটি পুরোটাই আবাসিক।এখানে আট থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী ছেলে মেয়েরা থেকে প্রশিক্ষন নেবে সম্পুর্ন বিনামূল্যে। এই সব আবাসিক খেলোয়াড়দের শিক্ষার দিকটিও নজর রেখেছে রাজ্য সরকার।আবাসিক খেলোয়াড়দের ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে তাদের পরিবারের কোন ছাড়াই সম্পুর্ন বিনামূল্যে পাড়াবে সরকার। এই আর্চারি অ্যাকাডেমিতে দক্ষ কোচ দিয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে।ঝাড়গ্রামের এই অ্যাকাডেমিতে ছেলে এবং মেয়েরা থেকে প্রশিক্ষন নেবে।
মোট ৩২ টি আসন বিশিষ্ট এই অ্যাকাডেমিতে আবাসিক থেকে প্রশিক্ষন নেবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ষলো জন ছাত্র এবং ষলো জন ছাত্রী। মাস ছয়েক আগে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে তীরন্দাজ(৮ –১৪)দের নিয়ে জেলা ভিত্তিক প্রতিযোগীতা হয়। সেই প্রতিযোগিতা থেকে রাজ্যের জেলাগুলি থেকে সেরা দের নির্বাচিত করা হয়। রাজ্যের মধ্যে মোট বত্রিশজন ছাত্র,ছাত্রী রাজ্যের এই আর্চারি অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পায়। এবার তারা পড়াশুনার পাশাপাশি আবাসিক থেকে দক্ষ প্রশিক্ষকের অধীনে প্রশিক্ষন নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক নকুল চন্দ্র মাহাতো বলেন “ ২৪ জানুয়ারি রাজ্যের প্রথম আর্চারি অ্যাকাডেমি চালু হতে চলেছে। এই অ্যাকাডেমিতে যারা সুযোগ পেয়েছে তাদের বিভন্ন স্কুলে ভর্তি করিয়ে পড়াশুনা করানো হবে। তারা পড়াশুনার পাশাপাশি থেকে আর্চরিতে প্রশিক্ষন নেবে দক্ষ প্রশিক্ষকের অধীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন