পাথারকান্দি : অসম-ত্রিপুরা সীমান্তের ত্রিপুরা রাজ্যের পত্যেকরায় এলাকার উত্তরহুড়ুয়া গ্রামের(ছয়)নং ওয়ার্ডের জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছে এক গৃহবধূর বিবস্ত্র লাশ।পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ধর্মনগর সিভিল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে শনিবার সংক্রান্তির রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলেন স্থানীয় ধীরেন্দ্র মালাকারের স্ত্রী প্রতিমা মালাকার(চল্লিশ)।কিন্তু যথা সময়ে তিনি ঘরে না ফেরায় স্বামী ধীরেন্দ্র ঘর থেকে বেরিয়ে স্ত্রীর খুজাখুজি শুরু করলেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।পরেরদিন রবিবার এ খবর গ্রামে চাউর হলে গৃহবধূর খোঁজে বেরিয়ে পড়েন গ্রামের জনগন।দুপুর দেড়টা নাগাদ গ্রামবাসীর নজরে পড়ে যে একটি জলাশয়ের উপরে ভাসছে এক বিবস্ত্র মহিলার লাশ।
জলাশয় থেকে মহিলার বাড়ির দুরত্ব ছিল প্রায় দেড় কিলোমিটারের মতো।খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌছান কদমতলা থানার ওসি এবং ধর্মনগরের এসডিপিও জ্যোতিষ্মান দাসচৌধূরী।তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।বিষয়টুকু নিয়ে গ্রামবাসির ধারনা যে প্রতিমা মালাকারকে প্রথমে গন ধর্ষন করে পরে খুন করে লাশ জলাশয়ে ফেলে গাঁঢাকা দিয়েছে দুষ্কৃতিকারিরা।
অন্যদের মতে এটা আত্মহত্যার ঘটনাও হতে পারে।এ মর্মে এসডিপিও জ্যোতিষ্মান বাবুকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে ময়না তদন্তের পরই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।তবে পুলিশের ধারণা সংক্রান্তির রাতে স্নান করতে গেলে অসাবধানতাবশত ঘাট থেকে পা পিছলে জলে ডুবে মৃত্যু হয় প্রতিমার। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন