ক্যানিং : দিন দু’য়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমানে কার্তুজ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার রাতে ক্যানিং এর মাতলা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধরা পড়ল তিন দুষ্কৃতী। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি বন্দুক, তিনটি মোবাইল ফোন ও ৬৫২০ টাকা উদ্ধার করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। ধৃতরা এই অস্ত্র নিয়ে ক্যানিং থেকে বাসন্তীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তীতে। সম্প্রতি বাসন্তীর চড়াবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিন নম্বর হেতালখালী গ্রামে দুই পক্ষের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে চলে ব্যাপক বোমা ও গুলি। পুলিশের অনুমান ওই দিন এলাকায় অন্তত চারশো রাউন্ড গুলি বিনিময় হয় দু’পক্ষের মধ্যে। ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ কর্তারা। কোথা থেকে এতো গুলি, বোমা, বন্দুক বাসন্তীতে আসছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পর পর দুটি সাফল্য পেল বারুইপুর জেলা পুলিশ|
গত সোমবার রাতে ৩১৪ রাউন্ড গুলি সহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর বুধাবার রাতে চারটি বন্দুক সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মোজাফফর লস্কর, সালাম মোল্লা ও হাসেম মোল্লা। পুলিশের দাবি, মোজাফফর লস্কর ও সালাম মোল্লা গোসাবা থানার গোপালকান্ত গ্রামের বাসিন্দা। তারা বাসন্তীর কলাহাজরা গ্রামের বাসিন্দা হাসেম মোল্লার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে এসেছিল। হাসেম কলকাতা থেকে অস্ত্র নিয়ে ক্যানিং স্টেশনে নেমে অটোয় চেপে বাসন্তীর দিকে যাচ্ছিল। পথে মাতলা সেতুর কাছে মোজাফফর ও সালাম দাঁড়িয়ে ছিল অস্ত্র কেনার জন্য।
কিন্তু, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশ স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের পুলিশ কর্মীরা সাদা পোশাকে সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন। অস্ত্রের ক্রেতা ও বিক্রেতা মুখোমুখি হতেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার অরিজিত সিনহা বলেন, “ পুলিশ খবর পেয়ে আগে থেকেই মাতলা ব্রিজের কাছে অপেক্ষা করছিল। এই অস্ত্র কেনা বেচার আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়”।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন