মৌলিক পরিষেবার সুযোগ রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি আয়সৃজনের জন্যও নানাবিধ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার৷ এইসব সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে রাজ্যের সাধারণ মানুষ তাঁদের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ঘটাতে পারছেন৷ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে এই ঘটনা বিশেষ মাত্রা যোগ করছে৷ গত ছয় বছরে রাজ্যে চালু হওয়া ও চালু থাকা গুরুত্বপূর্ণ পথিকৃৎ প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যেসব সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে ও যাবে সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় তথ্য আজ তুলে ধরা হচ্ছে৷
প্রকল্পের নাম: খাদ্য সাথী
দফতর: খাদ্য ও সরবরাহ দফতর
প্রকল্পের নাম: খাদ্য সাথী
দফতর: খাদ্য ও সরবরাহ দফতর
উদ্দেশ্য: সুলভ মূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করে খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গের ৮ কোটি ৬৬ লক্ষ মানুষ অর্থাৎ রাজ্যের ৯০.৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় এসেছেন৷
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার মাধ্যমে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা, অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবার, বিশেষ অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবার ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ এর তালিকাভুক্ত পরিবারের সমস্ত মানুষের কাছে রাজ্য সরকার দুটাকা কেজি দরে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিচ্ছে৷ খাদ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ৪০ লক্ষের বেশি মানুষের জন্য বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে স্বাভাবিক বরাদ্দের অতিরিক্ত খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে৷
জঙ্গলমহল, আয়লায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, চা-বাগানের সমস্ত পরিবার, দার্জিলিংয়ের পাহাড়বাসী, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক পরিবার, টোটোপাড়ার আদিম জনজাতিভুক্ত পরিবার এই বিশেষ প্যাকেজের আওতায় আছে৷
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পুষ্টি-পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন শিশু, মা ও তাদের পরিবারের জন্য মাসে ৫ কিলোগ্রাম চাল, ২.৫ কিলোগ্রাম গম, ১ কিলোগ্রাম মুসুর ডাল ও ১ কিলোগ্রাম ছোলা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে ‘বিশেষ কুপন’ চালু করে৷ গণবন্টন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও গতিশীল করার জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ডের প্রচলন ও সার্বিক কম্পিউটার ব্যবস্থাপনার সফল প্রয়োগ গত পাঁচ বছরে সম্ভব হয়েছে৷
যোগাযোগ: প্রতিটি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করণ ও খাদ্য পরিদর্শক৷ পুরসভার ক্ষেত্রে মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের করণ৷ এছাড়া খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের শুল্কমুক্ত ফোন নং ১৯৬৭ ও ১৮০০–৩৪৫–৫৫০৫ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন