
আগরতলা : নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারে তিনি ৩১ জানুয়ারি ধর্মনগরের জনসভায় ভাষণ দেবেন। সেদিনই প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারাভিযানের দ্বিতীয় জনসভাটি হবে সিপাহিজলায়।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লবকুমার দেব রবিবার সকালে জানিয়েছেন, আপাতত ঠিক হয়েছে, ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলতে তিন দফায় রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ একাধিক জেলাকে নিয়ে তিন দফায় তিনি রাজ্যে পাঁচটি নির্বাচনী সভা করবেন৷
বিপ্লব দেব বলেন, "এ মুহূর্তে বিজেপি-র সবচেয়ে বড় তারকা-প্রচারক প্রধানমন্ত্রী ৷ ফলে শুধু রাজ্যের দলীয় নেতা কিংবা কর্মীরাই নন, তাঁর জন্য উৎসুক হয়ে আছেন সাধারণ জনগণও৷ প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারে এসে তিনি ৩১ জানুয়ারি ধর্মনগরের প্রথম জনসভায় ভাষণ দেবেন। সেদিনই সিপাহিজলায় দ্বিতীয় জনসভাকে সম্বোধন করবেন তিনি।
তিনি বলেন, "শুধুমাত্র রাজধানীকেন্দ্রীক নয়, প্রধানমন্ত্রী প্রচারে জোর দিতে চলেছেন গ্রামীণ এলাকাকে৷ সর্বশেষ পর্যায়ের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগরতলায় একটি জমায়েতে ভাষণ দেবেন।"
এই প্রচারসভা সফল করতে কর্মী-সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ তবে এতে শাসকদল যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে। কারণ সিপিআইএমের তারকা-প্রচারক বলতে তেমন কেউ নেই৷ প্রকাশ কারাত, সীতারাম ইয়েচুরি, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাম বিজয়ন এবং পশ্চিমবাংলা থেকে অনেকেই আসবেন৷ কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে টেক্কা দেওয়ার মতো তেমন বড় কোনও মুখ নেই সিপিআইএমে৷
প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচী মোটামুটি ভাবে চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় এবার দলীয় কর্মীদের সেই মতো প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে দুই দফায় রাজ্যে এসে নির্বাচনী প্রচার করে গেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ ভোটের আগে আরও কয়েকবার রাজ্যে আসবেন বলে আগাম জানিয়েও গেছেন তিনি৷ এই পরিস্থিতিতে তারকা-প্রচারের ঢেউ যে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ত্রিপুরায় আছড়ে পড়তে চলেছে তা রীতিমতো স্পষ্ট৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন