আজ বিকেল: বাঙালির আবেগ উস্কে দিল গুগল ডুডল৷ লেখিকার মহাশ্বেতা দেবীর ৯২ তম জন্ম দিবসকে স্মরণ করে মধ্যরাতে গোটা বাংলাকে রীতিমত চমকে দিল গুগল কর্তৃপক্ষ৷ বাঙালি লেখিকার জন্মদিন উপলক্ষে আজ গুগলের প্রথম পাতায় স্থান পেয়েছেন মহাশ্বেতা দেবীর ছবি৷ সঙ্গে তাঁর সৃষ্টি করা চিরন্তন বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন চরিত্রের প্রতিচ্ছবিও তুলে ধরা হয়েছে গুগল ডুডলসের মাধ্যমে৷
১৯২৬ সালে ১৪ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের ঢাকায় জন্ম মহাশ্বেতা দেবীর৷ পারিবারিক ভাবেই যোগ শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যের জগতের সঙ্গে৷ প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ভ্রাতুষ্পুত্রী ও সাহিত্যিক মণীশ ঘটকের কন্যা মহাশ্বেতা দেবীর পড়াশোনা শুরু ঢাকায়৷ পরে বিশ্বভারতীতে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক হন৷ স্নাতকোত্তর পাশ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷
মা ধরিত্রী দেবীও লেখক তথা সমাজকর্মী ছিলেন৷ নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী৷ তবে ১৯৫৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ বিজন-মহাশ্বেতার পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্যও ছিলেন নামী লেখক৷ তবে বিজন ভট্টাচার্য ও নবারুণ ভট্টাচার্য মহাশ্বেতার আগেই প্রয়াত হয়েছেন৷ দিনটা ২০১৬, ২৮ জুলাই৷ ঘটনাচক্রে মহাশ্বেতা দেবী এমন একটি তারিখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, যার ঠিক তিন দিন পরেই পুত্র নবারুণের মৃত্যুবার্ষিকী৷
সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি অধ্যাপনা ও সামাজিক আন্দোলনও চালিয়ে গিয়েছেন সমান তালে৷ অনগ্রসর শ্রেণির জন্য তাঁর লড়াই চিরস্মরণীয়৷ আদিবাসীদের মধ্যে বিশেষ করে লোধা ও শবরদের মধ্যে মহাশ্বেতা দেবীর কাজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আদায় করে নিয়েছে৷ ‘অরণ্যের অধিকার’, ‘অগ্নিগর্ভ’, ‘তিতুমির’, ‘হাজার চুরাশির মা’-সহ তাঁর একাধিক সৃষ্টি চিরন্তন হয়ে গিয়েছে বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্যে৷ তাঁর একাধিক রচনা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন পুরস্কার জয়ী ছবি৷ (https://e-aajbikel.blogspot.in)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন