আর কতদিন চাকরি-প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে 'ছেলে খেলা' করবে সরকার? রাজ্যের বিরুদ্ধে ছ'টি বিস্ফোরক অভিযোগ - Aaj Bikel
আর কতদিন চাকরি-প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে 'ছেলে খেলা' করবে সরকার? রাজ্যের বিরুদ্ধে ছ'টি বিস্ফোরক অভিযোগ

আর কতদিন চাকরি-প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে 'ছেলে খেলা' করবে সরকার? রাজ্যের বিরুদ্ধে ছ'টি বিস্ফোরক অভিযোগ

Share This

 আজ বিকেল: অব্যাহত ক্ষোভ। চাকরি না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যের কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থী। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের এই মুহূর্তে একটাই দাবি,  শিক্ষক নিয়োগ। মামলা জট কাটাতে রাজ্যের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সরব চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কমিশন ও রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলেছেন চাকরি প্রার্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠছে ঝড়। সরাসরি  রাজ্যের বিরুদ্ধে ছটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া চাকরি প্রার্থীদের প্রথম প্রশ্ন, "আপনারা (সরকার) বলেন টাকা নেই তাই নিয়োগ করতে পারছেন না। তাহলে প্রাইমারিতে একবার নিয়োগ করে আরও কেন  নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল? যখন আপনাদের অর্থের ভাঁড়ার শূন্য ?"


চাকরি প্রার্থীদের দ্বিতীয় প্রশ্ন, "প্রাইমারি তিনটে লিস্ট প্রকাশের দীর্ঘ দিন পর চতুর্থ লিস্ট বেরোল কী করে? এদের ও তো মাইনে দিতে হবে। তাহলে অতিরিক্ত টাকা দিতে কোষাগারে টান পড়বে না ?"


তৃতীয়, "আপার প্রাইমারি পরীক্ষার পর প্রাইমারি পরীক্ষা হয়ে, নিয়োগও হয়ে গেল। আর আপার পড়েই রইল। আরে আপারে নিয়োগে শিক্ষকের বেতনের ৭০-৮০%তো কেন্দ্র সরকার দেয়। তাহলে প্রাইমারির মতো আপারে নিয়োগ করলেও তো রাজ্য সরকারের কোষাগারে চাপ পড়বে না। তাহলে দিনের পর দিন মামলার দোহাই দিয়ে বেকার চাকরিপ্রার্থীদের জীবন কেন নরকযন্ত্রণায় পরিপূর্ণ করে তুলছেন?"


চতুর্থ প্রশ্ন, "চেয়ারম্যান গত আগস্ট মাস থেকে বলে আসছেন যে আপারে আমরা ১০% রিজার্ভেশন বাদ রেখে ৯০%এর রেজাল্ট বের করার কোর্ট order বার করা হবে। কিন্তু সেটি হল ২০১৭ সালের সবচেয়ে বড় ধোঁকা হবে। কারণ ১০০%ই রেজাল্ট কমিশনকে বের করতে হবে। ৯০%রেজাল্ট বের করা যায় না।আইনজীবীদের কথা প্রসঙ্গেই কথা বলা হচ্ছে। এইভাবে  মানুষকে বিভ্রান্ত করা কেন ? এটা তো একপ্রকার রাজনীতি।"


"আপনাদের টাকা নেই, অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্কুলে সাইকেল বিতরণ করা কেন? আরে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা নেই,  সাইকেল দিয়ে কী কী মনোরঞ্জন হবে ? একে তো পাশ ফেল তুলে দিয়ে পড়াশুনাটাকে গোল্লায় পাঠিয়েছেন। ক্লাবে অনুদান কেন? সস্তা ভোট রাজনীতি করতে নোট বাতিল প্রকল্পে লোককে অর্থ সাহায্য কেন? নিজের রাজ্যে কাজ নেই আবার অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া লোককে ভাগিয়ে নিজের রাজ্যে এনে চায়ের দোকান করতে " সমর্থন প্রকল্প" চালু করা কেন ? আরও না জানি কত  " শ্রী"র নামে বিশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। আর যারা সরকারের কর্মচারী  তাদেরকে  "ঘেউ ঘেউ করবেন না" বলে অসম্মান করে D.A  দিতে আপনাদের ভিখিরির দশা।" প্রশ্ন তুলছেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ।


তাঁদের আরও প্রশ্ন, "এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নথিভুক্ত বেকার যেখানে ২৬লক্ষ, আর আপনারা বলেন ৮১লক্ষ চাকরি দিয়েছেন। ছ'বছর রাজ্যে সমস্ত স্তরে (প্রাইমারি ছাড়া )নিয়োগ তথৈবচ। চাকরির অভাবে  লক্ষ লক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার হবুশিক্ষক  "অতনু মিস্ত্রী" হওয়ার জন্য দিন গুনছেন। আপনাদের ভ্রান্ত নীতির জন্য মামলার জটে  পড়ে তাদের মূল্যবান বয়স পেরিয়ে  যাচ্ছে। কেন এর দ্রুত সমাধান করছেন না ? দালালরা  টাকা দিয়ে অযোগ্যকে  চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ফাঁদ পেতেছে। আর কত দিন থাকবে এই অন্ধকারের, অন্যায়ের, নৈরাজ্যের , কলঙ্কময় অধ্যায়?"

কোন মন্তব্য নেই: