দশম শ্রেণির ইতিহাস সিলেবাসে পরিবর্তন আনছে রাজ্য - Aaj Bikel
দশম শ্রেণির ইতিহাস সিলেবাসে পরিবর্তন আনছে রাজ্য

দশম শ্রেণির ইতিহাস সিলেবাসে পরিবর্তন আনছে রাজ্য

Share This

স্টাফ রিপোর্টার, কোচবিহার: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস সিলেবাসে পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য৷ চলতি সিলেবাসের সঙ্গে সংযোযিত হতে চলেছে রাজবংশী সমাজের পথপ্রদর্শক রায় সাহেব মনীষী ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জীবন৷  জানা গিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার সংক্ষিপ্ত জীবন তুলে ধরা হবে দশম শ্রেণির ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে৷

ইতিমধ্যেই তা সম্মতি দিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ কোচবিহারের শিতলকুচি ব্লকের খলিশামারীতে পঞ্চানন বর্মার জন্ম ভিটায় আজ ‘ইতিহাস বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করল পঞ্চানন বর্মার উত্তরপুরুষরা।

এদিন তাঁর বাড়ির সামনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই দিনের এই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের এই ভূমিকার প্রশংসা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয় রায় সেহেবের পরিবারের তরফ থেকে।

কোচবিহারের রাজবংশী সমাজের প্রাণপুরুষ ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা। সমাজ সংস্কারক পঞ্চানন বর্মা রাজ বংশী সমাজের বিশেষত নারী শিক্ষার জন্য তাঁর জীবন ভর কাজ করেছেন। তাঁর কাজের জন্য পরতে হয়েছে রাজ রোষেও, তবুও বিরত হননি তিনি। কোচবিহারের এক অখ্যাত গ্রামে জন্মে গোটা উত্তরপূর্ব ভারতের রাজবংশী সমাজের সংস্কার সাধনে নিয়োজিত করে ছিলেন নিজেকে। পিছিয়ে পরা রাজবংশী সমাজকে দিয়েছিলেন ক্ষত্রিয়র মর্যাদা।

কোচবিহারে খলিশামারি গ্রামে এখনও জন্ম-ভিটে বর্তমান, অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাড়িটি। বাড়ির পাশেই তাঁর একটি সংগ্রহশালা তৈরি হলেও তা চালু করা যায়নি। দীর্ঘদিন থেকে পুণ্যভূমি খলিশামারমী পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পঞ্চানন বর্মার জীবন ও কর্ম সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করা হচ্ছিল। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হয়েছে আগামী শিক্ষা বর্ষ ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে দশম শ্রেণির ইতিহাসের সিলেবাসে স্থান পেয়েছে পঞ্চানন বর্মার জীবন ও কর্ম। রাজ্য সরকারের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ তাঁর জন্মভিটায় ‘ইতিহাস বিজয় দিবস’ পালন করা হল পঞ্চানন বর্মার পরিবারের পক্ষ থেকে।



এখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর নাতী তিমির কুমার বর্মা, সমীর কুমার বর্মা, অরুণ কুমার বর্মা ও মৃত মিহির কুমার বর্মার স্ত্রী ও পুত্র। এছাড়াও ছিলেন কোচবিহার ক্ষত্রীয় সোসাইটির সদস্যরা৷ ছিলেন পুণ্যভূমি খলিশামারমী পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের সম্পাদক গিরীন্দ্র নাথ বর্মণ। এদিন পঞ্চানন বর্মার নাতি অরুণ বর্মা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে আমারা ভীষণ খুশি৷ দীর্ঘ দিন থেকেই এই দাবিতে আন্দোলন চলছিল অবশেষে রায় সাহেবের কর্মজীবন পাঠা পুস্তকে স্থান পেয়েছে৷’’

গিরীন্দ্র নাথ বর্মণ জানান,  এটি একটি ঐতিহাসিক দিন৷  এর জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী ও সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন থেকেই এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছি আমরা ২০১৫ সালে প্রথম এই দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যানকে আবেদন  করি আমরা তারই ফলে এই দাবি পূরণ হল৷’’

কোন মন্তব্য নেই: