নয়াদিল্লি: বিশ্বের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ দূষণে মৃত্যু হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল ‘দ্য লান্সেট’ পত্রিকা৷ দিওয়ালির পর দিল্লির দূষণ নিয়ে যখন সকলেই উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে এ দেশের ২৫ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র দূষণের কারণে মারা গিয়েছেন৷
বায়ূ, জল এবং অন্য দূষণের কারণে এ দেশে মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, এ দেশে দূষণে প্রতি এক মিনিটে মারা যায় ৫ জন করে। দূষণে মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্বের মধ্যে ভারতই প্রথম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। এ দেশে ২৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে দূষণে। গবেষণায় উঠে এসেছে, অধিকাংশ মৃত্যুর কারণই হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার। যা দূষণের জন্য হয়ে থাকে৷
দিওয়ালির পর আতসবাজির জন্য ভারতে দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। গত বছর আতসবাজি, পরিবহন দূষণ, কয়লার খনি থেকে হওয়া দূষণ, ফসল পুড়িয়ে দেওয়ার দূষণ থেকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতে ব্যাপক পরিমাণ কুয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এ বছর দিওয়ালির পর যাতে দূষণের মাত্রা যাতে একটু কমে সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি সেভাবে হয়নি, বিভিন্ন জায়গার বাতাসেই উচ্চ মাত্রায় আতসবাজির ছোট ছোট বস্তু পাওয়া গিয়েছে৷
দিওয়ালি পর মুম্বই ও চেন্নাইয়ের পরিস্থিতিও একই থাকে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা৷ প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশ সহ ৪০ জন গবেষক তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন, দূষণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনিবার্য পরিণাম নয় এবং উচ্চ আয়ের দেশ থেকে মধ্য ও নিম্ম আয়ের দেশে একই ধরনের আইন প্রণয়ন করে সেই দেশের নাগরিকদের দূষণ সংক্রান্ত রোগ থেকে বাঁচানো যেতে পারে। দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দূষণ কমানো সম্ভব হবে। তার জন্য সচেতন হতে হবে দেশের নাগরিকদের৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন