নয়াদিল্লি: ওবিসি অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে যাঁদের বার্ষিক আয় আট লক্ষ টাকার বেশি, তাঁরা শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি সুবিধা পাবেন না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ কিন্তু, সরকারের বেধে দেওয়া এই ঊর্ধ্বসীমা আরও বাড়ানোর দাবি তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷
তাঁদের দাবি, ওবিসি'দের মধ্যে বহু ব্যক্তি বাদ যাবে। সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বেতন এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে। ওবিসি'দের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হল ঠিকই, কিন্তু তা বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়নি৷
১৯৯৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, ওবিসি'দের মধ্যে যাঁদের পরপর তিন বছর বার্ষিক আয় এক লক্ষ ও তার বেশি হয়, তাঁদের ক্রিমি লেয়ারের আওতায় ফেলা হবে। ক্রিমি লেয়ার কী? ওবিসি শ্রেণিগুলির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অংকের বেশি আয় হলে, তাঁদের উচ্চ মধ্যবিত্ত হিসাবে ধরা হবে এবং তাঁদের ছেলে-মেয়েরা সংরক্ষণের সুবিধে পাবে না৷
ক্রমে এই ক্রিমি লেয়ারের ঊর্ধ্বসীমা আড়াই লক্ষ থেকে সাড়ে চার লক্ষ এবং ২০১৩ সালে বাড়িয়ে ছ'লক্ষ করা হয়৷ অর্থাৎ, ছ'লক্ষ টাকার নীচে আয় হলে, তবেই ওবিসি গোষ্ঠীর ব্যক্তিদের সন্তানরা সংরক্ষণের সুযোগ-সুবিধা পাবে৷ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসের ১৩ তারিখ কেন্দ্র ফের এই ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ যা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে এই ঊর্ধ্বসীমা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল৷
কারা এই ক্রিমি লেয়ারের আওতায় পড়বেন? দেশের সমস্ত ওবিসি নেতা-মন্ত্রী বা বিধায়ক ছাড়াও এমপি'রা পড়বেন এর আওতায়। তাছাড়া এখানে যেহেতু পারিবারিক আয় বলা হয়েছে, তাতে বাবা-মা যদি চাকরিজীবী হন, আর দু'জনের বার্ষিক আয় আট লক্ষ টাকা হয়, সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত অন্যান্য পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর শ্রেণির মানুষজনের ছেলে-মেয়েরা সরকারি সুযোগ পাবেন না। কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলের শিক্ষকরাও পড়তে পারেন এই তালিকায়৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন