অজয় মজুমদার: উৎসব জীবনকে আনন্দ দিলেও জনস্বাস্থ্যকে মৃত্যুদণ্ডের দিকে ঠেলে দেয়।
যে কোনও অনুষ্ঠানে উৎসবে বনগাঁ এগিয়ে। হৈচৈ কেন্দ্রিক জীবনে নিজেকে অভিযোজিত করা ছাড়া উপায়ই বা কি? উৎসবের মেজাজ পৃথক হবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সামান্য লোকনাথ মন্দির বা কালীমন্দির প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মাইকের চোঙা ইলেকট্রিক পোস্ট লাগানো হয়। আর সারাদিন চলে শব্দের তাণ্ডব। ১২০ ডেসিবল পার হয়ে যায়। বহু বার এপিডিআর বনগাঁ শাখা প্রশাসনিক দফতরে ডেপুটেশন দিয়ে কোন কাজ না পেয়ে বিষয়টিকে একরকম ছেড়ে দিয়েছেন।
অথচ তাদের অনুমতি ছাড়া মাইক নিশ্চয়ই চলে না। স্থায়ী ভাবে মাইকের চোঙা বসানো রয়েছে মণিষাঙ্গনে। উৎসব নেই তো খেলা তো রয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্যে রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার বাড়ির কালীপুজোর প্রতিমা আনার সময় ব্যাপক ভাবে ঢাক ঢোল বাজী পটকা ফুটিয়ে রাস্তাঘাট জ্যা ম করে জনজীবনে ডেকে আনে বিশৃঙ্খলা। এটাকে কি সুস্থ জীবন বলে? এমনিতেই বনগাঁ শহর সবসময় উৎসব মুখর। বছরে সাতদিন চলে মর্যাদা উৎসব।
বনগাঁর যুব-সমাজ যথেষ্ট শৃঙ্খলা পরায়ণ। এখানে নেই কোনও স্থায়ী ইকোনমিক স্ট্যাটাস। নেই কোন কাজের স্থায়ী সমাধানের হাতছানি।এরই মধ্যে কিছু সুবিধাবাদী তাদের স্বচ্ছন্দ আদায় করে নেয় নির্লজ্জের মতো। কোন প্রতিবাদ তারা করেনা উপরন্তু শৃঙ্খলার বাতাবরণ আনার আন্দোলন কে ভয় পায় ও ঈষা করে। শব্দ দূষণ মানুষের মধ্যে শুধু যে স্বাস্থ্যর হানিকর তাই নয়। শব্দের ভয়াবহতার প্রকোপ মানুষকে উশৃঙ্খল করে তোলে। অসামাজিক কাজে সুস্থ চিন্তনের মৃত্যু ঘটে। এই কাজে যে বা যারা ঠেলে দিচ্ছে তাদের অপরাধের গণ্ডির সীমানা পেরিয়ে যাওয়া টা স্বাভাবিক নয়কি?
অনুষ্ঠান নিশ্চয়ই চলবে, কিন্তু অনুষ্ঠান এলাকার মধ্যে শব্দ সীমাবদ্ধ থাকলে তো আর সমস্যা র জন্ম দেয়না ।ডিজে বক্স গুলিকে নিষিদ্ধ করা বাঞ্ছনীয়।ভাবুনতো এমন যদি হয়-- সারা বনগাঁয় হাজার খানেক মাইকের চোঙ বাধা হল।সারাদিন আজান চালানো হল ।তাহলেই আপনাদের গেল গেল রব উঠতে থাকবে।শুরু হবে জাতি দাঙ্গা।কর্তৃপক্ষের একবারও তো মনে হয়না বাড়িতে অসুস্থ রোগী বা পরীক্ষার্থী থাকতে পারে।কিছু মানুষের ব্যক্তিগত আনন্দ চরিতার্থ করার জন্যে অন্যের অধিকারকে কোন অধিকারে ধ্বংস করা হচ্ছে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন