আজ বিকেল: নিজেদের ‘অস্তিত্ব’ টিকিয়ে রাখতে এবার ঠাকুরবাড়ি থেকে বেনোজল সরানোর উপর জোর সওয়াল করলেন মতুয়া ঠাকুরবাড়ির ছোট নাতি শান্তনু ঠাকুর৷ পরিবারের ভাঙন, রাজনীতি ও মতুয়াভক্তদের মনে ঠাকুরবাড়ি সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরির পেছনে ‘বহিরাগত’দের মদত রয়েছে বলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কয়েকটি লেখা পোস্ট করে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেন তিনি৷ পাশাপাশি, রাজনীতি থেকে দূরে সরে মতুয়া ধর্মকে সঠিক দিশা দিতে ও হরিগুরুচাঁদের আদর্শকে ভক্তদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথাও লেখেন৷ মতুয়া ‘তীর্থপীঠ’ ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করাই তাঁর প্রথম লক্ষ্য বলেও জানান শান্তনু ঠাকুর৷ ফেসবুকে মন্তব্য করেন, ‘‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রাজনীতির ঘেরা টোপ থেকে ঠাকুরবাড়িকে মুক্ত করতে পারলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব।’’
তবে, ঠাকুরবাড়িকে আদৌও রাজনীতি থেকে মুক্ত করা সম্ভব? কেননা, এই রাজনীতি কেন্দ্র করেই ভাঙন ধরেছিল ঠাকুরবাড়িতে৷ ধর্মীয় আবেগকে মূলধন করে ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা ক্ষমতার অলিন্দে আসার চেষ্টাও করেছেন বারংবার৷ ‘ধর্মে’র আবেগ মেখে ক্ষমতা এসেছিল ঠাকুরবাড়িতে৷ কিন্তু ক্ষমতার সন্ধান মিললেও আখেরে মতুয়া সম্প্রদায়দের নিজস্ব দাবি-দাও একটিরও পূর্ণতা মেলেনি৷ বরং ঠাকুরবাড়িকে কেন্দ্র করে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে বেনোজল৷ উৎপাত বেড়েছে বহিরাগতদের৷
মূলত, পরিবার ভাঙন ও রাজনীতির অনুপ্রবেশের জেরে ঠাকুরবাড়ির ঐক্য নষ্ট হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি৷ মন্তব্য করেন, ‘‘আমার বাবা মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন আজকের বিরোধী লোকগুলি যথারীতি আমাদেরকে ব্যাবহার করে ক্ষমতার সুবিধা আদায় করত৷ আজকে আমাদের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই৷ যখন সরকারি সুবিধা দিতে পারতাম তখন আমরা কেউ কুলাঙ্গার ছিলাম না।’’
এদিন ফেসবুক পোস্টে শান্তনু ঠাকুর আরও লেখেন, ‘‘যখন থেকে জেঠিমা মমতা বালা ঠাকুর সাংসদ হয়েছেন, তখন থেকেই কিছু লোক নিজের স্বার্থে ঠাকুর বাড়িতে লাইন দাঁড়িয়ে পড়েছেন৷ আমি হলফ করে বলতে পারি আবার যদি আমরা কোন রাজনৈতিক ক্ষমতা পাই, এই লোকগুলি দৌড়ে আসবে।’’
ঠাকুর পরিবার থেকে বেনোজল তাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে আরও লেখেন, ‘‘ঠাকুরবাড়ির সমস্যা মেটাতে হলে এই স্বার্থান্বেষীদের তারাতে হবে৷ এই কাজ শুরু হলে ক্ষমতা লোভীরা নিজেরাই ষড়যন্ত্রের জাল গোটাতে শুরু করবে৷’’ খুব শীঘ্রই ঠাকুরবাড়িতে প্রকৃত মতুয়া হরি ভক্তদের সমন্বয়ে মতুয়া মহাসংঘের জয় যাত্রা শুরু হবে বলেও জানান তিনি৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন