দু’মাস পরেও পরিবেশগত সমীক্ষার রিপোর্ট দিতে পারল না সরকার - Aaj Bikel
দু’মাস পরেও পরিবেশগত সমীক্ষার রিপোর্ট দিতে পারল না সরকার

দু’মাস পরেও পরিবেশগত সমীক্ষার রিপোর্ট দিতে পারল না সরকার

Share This
https://www.facebook.com/Aajbike2014/

আজ বিকেল:  যশোহর রোড সম্প্রসারণের জন্য জাতীয় সড়কের দু’পাশের ৪ হাজার ৩৬টি গাছ কাটার পরিকল্পনা করেছে সরকার৷ কিন্তু, নির্বিচারে এই গাছগুলি কাটা হলে পরিবেশের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে তা এখনও জানতে পারল রাজ্য৷ প্রায় দু’মাস বেশি কেটে গেলেও আদালতে পরিবেশগত সমীক্ষার কোনও রিপোর্ট জামা দিতেই পারলেন না সরকারপক্ষের আইনজীবী৷ গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার আগে পরিবেশগত সমীক্ষা হয়েছিল কি না, তার রিপোর্ট গত ৭ এপ্রিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সরকারপক্ষকে আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্তু, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জমা করতে পারেনি রাজ্য৷ সমীক্ষার কাগজপত্রের প্রতিলিপি অবিলম্বে মামলাকারীদের হাতে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয়বারের জন্য নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ 


কিন্তু, দীর্ঘ দু’মাস কেটে গেলেও এখনও কেন পরিবেশগত সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে পারল না সরকার৷ তাহলে কী যশোহর রোড সম্প্রসারণের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাইছে না সরকার? নাকী  পরিবেশগত সঠিক সমীক্ষার করালে বিপুল সবুজ ধ্বংসের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা সত্যি বলে প্রমাণিত হয়ে যাবে?
কেননা, যশোহর রোডে বিপুল পরিমাণ গাছ কাটা হলে পরিবেশের উপর তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পরিবেশ কর্মীরা৷ এমনকি, কৃষি নির্ভর অঞ্চলে গাছ কাটার ফলে বৃষ্টিপাত কম হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই গাছ কাটার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতনতা করতে লাগাতার প্রচার অভিযান শুরু করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য ও ‘গাছ বাঁচাও’ কমিটির সমদস্যরা৷


যশোহর রোড সম্প্রসারণে জন্য নির্বিচারে গাছ কাটা রুখতে কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এপিডিয়ার৷ পরে পরিবেশ কর্মীদের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়৷ জোড়া মামলার গত শুনানিতে এপিডিআরের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী, মেহবুব আহমেদ ও মামলাকারী দুই ছাত্রছাত্রীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, শামিম আহমেদ অংশ নেন৷ সরকারি তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, অন্যতম কৌঁসুলি জয়তোষ মজুমদার, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ছাড়াও কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের আইনজীবীও হাজির হন৷

এদিন মামলার শুনানিতে যশোহর রোডে গাছ কাটার বন দফতরের যে অনুমতিপত্র হলফনামায় পেশ করেছে সরকারপক্ষ, তার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা৷ গত বছর ২২ জুলাই বারাসতের ডিএফও-র কাছে গাছ কাটার অনুমতি চান জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ৷ ওই দিনই অনুমতি দেওয়া হয়৷ দিনের দিনে তা কী করে সম্ভব -সেই প্রশ্ন ওঠে৷ সেই অনুমতিও ছ’মাসের, যার মেয়াদ অনেক আগেই ফুরিয়েছে বলে আদালতে জানানো হয়৷ কর্মবিরতি থাকা সত্ত্বেও জনস্বার্থে মামলা শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ যশোহর রোডে গাছ কাটার উপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখে৷ 

কোন মন্তব্য নেই: