আজ বিকেল: বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গাইঘাটা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া এলাকার জনৈক সুশীল বোসের বাড়ির সামনে থেকে কালীতলা রেলগেল পর্যন্ত রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের অধীনে রাস্তা সংস্কারের কাজে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা৷
দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা সংস্কার না হওয়ার দরুন বেশ সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়ারা৷ কেননা, এই পথ দিয়ে ঢাকুরিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বহু ছাত্রী সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করে৷ রাস্তা খারাপ খারাপ থাকায় তাদের যাত করতে সমস্যা হচ্ছে বলেও সম্প্রতি বিডিও-তে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়৷ এমনকি, চাঁদপাড়া রেল স্টেশন যেতে স্থানীয়দের এই পথ ব্যবহার করতে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়৷ স্টেশনে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই পথ দিয়ে চলতে ফিরতে স্থানীয়দের সমস্যার কথা বিডিওকে জানানো হয়৷ আগামী বর্ষা আসার আগে গোটা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দাবি জানান স্থানীয়রা৷
পড়ুন আজ বিকেল ই-সংস্করণ
এদিন ডেপুটেশ জমা দেওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ পরামানিক বলেন, ‘‘আমরা চলতি মাসের শুরুতেই বিডিওর কাছে গিয়ে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছি৷ আমাদের দাবির ভিত্তিতে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক নিজে গোটা বিষয়টি দেখবেন বলে অশ্বত্থ করেছেন৷’’ খুব শীঘ্রই বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে এদিন জানান বিডিও৷
উল্লেখ্য, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য এর আগেও একবার কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন৷ কাজ শুরু হলেও পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এমনকি রাস্তার সংস্কারের কাজে স্থানীয় শ্রমিকরা ঠিকঠাক টানা পাননি বলেও এদিন জানানো হয়৷ কাজ অর্ধেক করে ফেলা রাখার পর কাজ আগামী বর্ষার মধ্যে শেষ না গেলে স্থানীয়রা যৌথ ভাবে বড়সড় আন্দোলনে নামা হলে বলে হঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷
বিপজ্জনক এই পথ দিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। দীর্ঘদিন যাবৎ এই বেহাল রাস্তাই ভরসা বহু বাসিন্দার। ঘটছে দুর্ঘটনা। পথের উভয় পাশেই গভীর খাঁদ। সামান্য অসতর্ক হলেই ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। বর্ষা-বাদলার সময় অবস্থা হয় আরও সঙ্গিন, যেন মরণ-ফাঁদ। ইটে পিচ্ছিলতা ধরে ভয়ানক পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক অরুণ বিশ্বাস বললেন, "আমাকে প্রতিদিন এই পথে বাধ্য হয়ে স্কুলে কিংবা অন্য কাজে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার দু'পাশ ভেঙে গিয়ে মাত্র ফুট দুয়েকে দাঁড়িয়েছে। এই সংকীর্ণ পথে চলতে ভীষণ ভয় করে।বছর দুই আগে আমি পড়ে গিয়েছিলাম মোটরবাইক নিয়ে গর্তের জলে। মারাত্মক চোট পাই। ভয় হয় আবার কখন পড়ি৷"
চার বছর আগে এই পথে ইট পাতিয়ে দেওয়া হয়েছিল পঞ্চায়েত থেকে। ইট পাতানোর ৬- ৭ দিনের মধ্যেই অতি বৃষ্টিপাতে দুপাশ ভেঙে যায়। সেই থেকেই চলছে এই ঝুঁকির যাতায়াত।
উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার গঙ্গানন্দপুর পঞ্চায়েতের অধীন অম্বরপুরে এই পথটি। এই চার বছর যাবৎ গ্রামের পঞ্চায়েত মেম্বর এবং পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে মৌখিকভাবে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখানের পনের-ষোল কৃষক পড়েছেন চরম দুর্দশায়। কারণ রাস্তাটি অতি সংকীর্ণ হবার ফলে রিক্সা কিংবা গরুর গাড়ি চলাচল করতে পারে না, ফলে মাঠের ধান-পাট-সহ সমস্ত ফসল মাথায় করে বহন করতে হয়। আর দ্বিতীয় কোন পথও নেই। কৃষকদের এবং এই পাড়ার সমস্ত বাসিন্দার দাবি, পঞ্চায়েত খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটি সংস্কার করে দিক।না হলে সামনে বর্ষা আসছে, আবার চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হবে।
পড়ুন আজ বিকেল ই-সংস্করণ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন