ডেরেককে প্রকাশ্যেই স্মৃতির এক হাত - Aaj Bikel
ডেরেককে প্রকাশ্যেই স্মৃতির এক হাত

ডেরেককে প্রকাশ্যেই স্মৃতির এক হাত

Share This

কলকাতা   :  রাজ্যসভায় তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়ানকে সংবাদ সম্মেলনে এক হাত নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি| ডেরেকের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে শুক্রবার স্মৃতির কাছে প্রতিক্রিয়া চান সাংবাদিকরা| স্মৃতি বলেন, “ওঁর কাছে আমি এটাই আশা করি| কোনও দায়িত্বশীল মন্তব্য আশা করি না|

বুধবার তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়ান-সহ প্রায় ২০ জন সাংসদের দল রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। আসানসোল কাণ্ডে রাজ্যপালের 'অতিসক্রিয়তা' নিয়ে নালিশ জানান তাঁরা। আসানসোলে অশান্তির পরে সেখানে যান রাজ্যপাল। পুলিশের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ শোনেন। পরে এনিয়ে তিনি রিপোর্টও পেশ করেন। প্রশাসনের তরফে অভিযোগ, এ কাজ প্রশাসনের। প্রশাসনের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই কাজ করে চলেছেন রাজ্যপাল। যা প্রকারান্তরে প্রশাসনের কাজেই হস্তক্ষেপ করা বলে তাঁদের অভিযোগ। তড়িঘড়ি করে রাজ্যপাল আসানসোল গিয়ে শুধু বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই দেখা করেন বলে অভিযোগ ওঠে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে।

২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় তৃণমূল দলনেতা তৃণমূল সুপ্রিমোর একসময়কার সবচেয়ে বিশ্বস্ত মুকুল রায়কে সরিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় ডেরেক ও'ব্রায়ানকে। আসানসোল সম্পর্কে ‘রাজ্যপালের পক্ষপাতিত্ব’ এবং বিজেপি-র কিছু নেতার অশ্লীল কথার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডেরেকের মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে শুক্রবার প্রশ্ন করা হয় স্মৃতিকে| স্মৃতি বলেন, “অনকে প্রশ্ন করুন তো, বিজেপি-খুন নিয়ে একটা কথাও বলেছেন কি না| জানতে চান তো, কেন রাজ্যসভায় উপস্তিতির হার মাত্র ৮ শতাংশ | গরহাজির এবং বিতর্কের জেরে ২৩ দিন ব্যাহত হল রাজ্যসভার কাজ| কেন বাধা পেল দুর্নীতি দমনের আইন প্রনয়ণ? এ সবের কি উত্তর দেবেন উনি?”

এর আগে ২০১৭-র ৪ এপ্রিল ডেরেক ও' ব্রায়েনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জয়প্রকাশ মজুমদারের মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জানান, ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সিপিএম পলিটব্যুরো নেতা প্রকাশ কারাতকে লাড্ডু খাওয়াচ্ছেন। এটি ভিত্তিহীন, এই দাবি তুলে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি| আদালতে এসে রাজ্য বিজেপি -র সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, ডেরেকের বিরুদ্ধে লালবাজারে সাইবার ক্রাইম সেলে জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই মামলা করেছি। আদালত ডেরেক এবং রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

কোন মন্তব্য নেই: