বিশৃঙ্খলা রুখতে আরও কড়া হচ্ছে বিশ্বভারতী - Aaj Bikel
বিশৃঙ্খলা রুখতে আরও কড়া হচ্ছে বিশ্বভারতী

বিশৃঙ্খলা রুখতে আরও কড়া হচ্ছে বিশ্বভারতী

Share This

শান্তিনিকেতন: বহিরাগতদের ভিড় আর বিশৃঙ্খলার দাপটে মাঝে মাঝেই তাল কেটেছে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবে৷ তাই এ বার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্র ঐতিহ্য রক্ষার আবেদন করেছেন আমজনতার কাছে৷ তবে শুধু আবেদন নয়,  উপেক্ষা করলে কড়া পদক্ষেপ নিতেও পিছপা হবে না বলে সাফ জানিয়েছে বিশ্বভারতী৷ বিশৃঙ্খলা রুখতে পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন আশ্রমিক, ছাত্র, অধ্যাপক সব পক্ষই৷


কেন এই পদক্ষেপ?  বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, ফি বছর উৎসব চলার সময় সীমানার বেড়া ভেঙে ঢুকে পরে জনতা৷ আবিরের সঙ্গে অন্য রঙ মিশিয়ে একে অন্যের গায়ে মাখানোর নামে চলে অসভ্যতা৷ অনুষ্ঠান চলাকালীন আশ্রমের এখানে সেখানে চলে হিন্দি গান, চটুল নাচ৷ ঠান্ডা পানীয়ের বোতলে মদ ভরে খেতে খেতে চলে দেদার ফুর্তি৷ আশ্রম প্রাঙ্গণে ছাত্রীদের হস্টেল থাকায় তাঁরা আতঙ্কে থাকেন৷ সকাল থেকে বিকেল গড়িয়ে গেলেও বহিরাগতরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে চায় না৷ তাই এর ফলে নিরাপত্তা যেমন বিঘ্নিত হয় তেমনই নষ্ট হয় ঐতিহ্য৷ আর তাই এ বার একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্বভারতী৷ 

বিশৃঙ্খলতা রুখতে প্রশাসনের পাশাপাশি লক্ষ্য রাখবে বিশ্বভারতীর কর্মীরাও৷ থাকছে সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ারে নজরদারি ব্যবস্থা৷ নিয়ম মানা না-হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে৷ রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য অনুযায়ী, শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের সুর ও মেজাজ এমন ভাবে তৈরি যা কোনও ভাবেই কলুষতা ডেকে আনতে না পারে৷ পোশাক-পরিচ্ছদ-বেশভূষা এমনকি নাচগানের মধ্যে বজায় থাকে শালীনতা৷ 

আর ছাত্রছাত্রীরা যেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে তাদের সুকুমার বৃত্তিকে পরিস্ফুট করে তুলতে পারে৷ রবীন্দ্রনাথের সময় বসন্ত উৎসব ছিল একান্ত ভাবে শান্তিনিকেতন আশ্রমের৷ কবির প্রয়াণের কয়েক বছর পর তা হয়ে ওঠে জনগণের৷ ফলে , বহিরাগতদের একাংশের কাছে বসন্ত উৎসবে রবীন্দ্রনাথের নাচ-গানের কোনও আকর্ষণই থাকে না৷ প্রবীণ আশ্রমিকদের কথায়, ৮০-র দশকে এমনই বিশৃঙ্খলা হয়েছিল যে, বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দিতে হয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷

কোন মন্তব্য নেই: