কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের মত রাজ্যও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মানের বিচার-তালিকা (রাঙ্কিং) করতে চায়। রাজ্যের মতে, এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের খামতি দূর করে মনোন্নয়নের প্রতিযোগিতায় নামবে। সফল সংস্থাগুলির পক্ষে সুবিধা হবে ইতিবাচক বিকাশের।
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ বিকাশ মন্ত্রক ‘ন্যাশনাল ইন্সটিট্যুশনাল রাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের’ ভিত্তিতে গোটা দেশের উৎকর্ষ কেন্দ্রগুলির মান নির্ধারণ করে। এই মানের ভিত্তিতে কেন্দ্র বাড়তি অর্থ দেয়। সূত্রের খবর, স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রমের ব্যাপারে ৮০:২০ অনুপাত অনুসরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ, কলেজের পাঠ্যক্রমে ৮০ শতাংশ ইউজিসি-র সুপারিশ, ২০ শতাংশ নিজেদের তৈরি— এ রকম গৃহীত হবে।
এবার কলকাতা বিএ পার্ট ওয়ানের পরীক্ষায় ফেল করেন ৫৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী। শুধু বিএ-তেই নয়, বিএসসি-তেও খারাপ ফল হয়েছে এবার। বিএসসি-তে ফেল করেন ২৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। পাস ও অনার্স- দুই বিভাগেই এমন হতাশজনক ফলাফল হয়েছে এবার। বিএ পার্ট ওয়ান-এ সব মিলিয়ে পাসের হার ছিল ৪৩ শতাংশ, আর বিএসসি-তে পাশের হাত ৭১ শতাংশ। এই ফলাফল প্রকাশের পরই শিক্ষামহলে শোরগোল পড়ে যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন অনেকে। প্রশ্ন ওঠে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের মান নিয়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্টারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে এ সব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কথা হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ পূরণ নিয়েও। পার্থবাবু জানান, “দূর শিক্ষা কার্যক্রমগুলি চালিয়ে যাওয়া নিয়ে অসুবিধা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র ভারতী, কল্যানী এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেছি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথা বলতে।”
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা পর্ষদের আইনে এই সুযোগের উল্লেখ আছে। এটা রূপায়িত করা গেলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ বরাদ্দের একটা গ্রহনযোগ্য পথ বার হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন