ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই ১৮ মে উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়ন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। তাই ৩০ জুনের মধ্যে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন করা অসম্ভব বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের কমিশনার-সচিব আনোয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে জানিয়ে দিয়েছেন ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া।
রাজ্যের পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের কমিশনার-সচিব এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে জেলাশাসক জানিয়েছেন, এনআরসির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৮০ শতাংশ অফিসার ও কর্মী। তাঁদের বাদ দিয়ে পার্বত্য পরিষদের নির্বাচন করানো কোনও ভাবে সম্ভব নয়। জেলাশাসক চিঠিতে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাই এনআরসি-র কাজে কোনও ঢিলেমি হলে সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়তে হবে। অতএব পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা প্রায় অসম্ভব বলে চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন জেলাশাসক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলাশাসককে এনআরসি-র কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া রাজ্যের পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের কমিশনার-সচিব এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, পাহাড়ি জেলার ৮০ শতাংশ সরকারি অফিসার কর্মচারী এনআরসির কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাই মে মাসের মধ্যে স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন করানো প্রায় অসম্ভব। তাই এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রাজ্যের পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের কমিশনার-সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন যে যথাসময়ে হচ্ছে না তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেছে রাজ্যের পার্বত্য এলাকা উন্নয়ন বিভাগের কমিশনার-সচিব এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে লেখা জেলাশাসকের চিঠিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন