উল্লেখ্য, গত দুদিন আগে বাঁকুড়ার রানীবাঁধে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে খুন হয় বিজেপিকর্মী অজিত মুর্ম্মু। ঘটনায় বিজেপি অভিযোগের আঙ্গুল তোলে তৃণমূলের দিকে।
বৃহঃস্পতি তার ভাই সাংবাদমাধ্যমের কাছে জানায়, "বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হয়েছে দাদা।" অজিত মুর্মুর ভাইয়ের প্রতিক্রিয়ায় শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে ওই ঘটনা ও জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাঁকুড়া জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয় বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামপদ মন্ডল প্রমুখ। ঘটনায় আহত রাজু বন্দ্যোপাধ্যয় কোলকাতা ফেরার পথে বাঁশকোপায় দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বিস্তারিত জানান। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি জানান," আমাদের কাছে প্রমান আছে, অজিত মুর্মুর দাদা ওইসময় বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন তৃণমূলের হাতে খুন হয়েছে।
অথচ তারপর দিন তার ভাইকে ভয় দেখিয়ে মেরে বয়ান বদল করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন,"রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। স্ট্যালিন, হিটলারদের মতো ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের বয়ান বদল করা হচ্ছে। তাই বাঁকুড়ার দলিয়কর্মী অজিত মুর্ম্মু খুনে সিবিআই তদন্তের দাবী করছি। এবং ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসুতই আদীবাসি ওই কর্মী খুনে আলাদা চরিত্র দিয়েছে। তাই তাদের পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি জেলার এসপি ও পুলিশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবো।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন