আগরতলা: কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণার পর দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় রোগীর উঠে-বসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় পর রোগী বেশিক্ষণ জীবিত ছিলেন না।
রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী বিটারবন এলাকার বাসিন্দা জনৈক নেহার বেগমকে বৃহস্পতিবার সকালে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে তাঁর দেহের একটি টিউমার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরেই মহিলার মৃত্যু হয় বলে পরিবার পরিজনকে জানিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
অস্ত্রোপচারের আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নেহার বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবার পরিজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মৃতদেহ কবর দেওয়ার আগ-মুহূর্তে আচমকা প্রথমে দেহে প্রাণের সঞ্চার লক্ষ করা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নেহার বেগম চোখ মেলে তাকান। হাত পা নেড়ে উঠেও বসেন বলে পরিবার পরিজন এবং এলাকাবাসীর দাবি। মৃতদেহ আচমকা উঠে বসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রচণ্ড চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি নেহার বেগমকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
মৃতার নিকট-আত্মীয় আবুদুস মিয়াঁ জানান, জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই নেহার বেগমের মৃত্যু হয়। আইজিএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়নি। আইজিএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে। শুধু পরিবারের লোকেরাই নন, কবরস্থানে উপস্থিত সবাই দেখেছেন, নেহার বেগম চোখ মেলে তাকিয়েছেন এবং হাত পা নেড়ে উঠে বসেছিলেন। একজনের ভ্রম হতে পারে, কিন্তু সকলে একসঙ্গে ভ্রমের শিকার হতে পারেন না বলে তাঁদের দাবি। তবে এখন পুনরায় নেহার বেগমের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং কবরস্থ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন