কলকাতা: বাইরে থেকে গুন্ডা আমদানি করে গন্ডগোল পাকানো চলবে না। পুলিশ সমঝোতা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রামনবমী প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ ভাবে হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি । দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং অন্যতম জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে সেখানে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী “কিছু হুজুগে মস্তান গন্ডগোল পাকাচ্ছে, প্রশাসন চুপ থাকবে? এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়, রামের নাম নিয়ে বদনাম করা যাবে না। রাম বলেছিলেন পিস্তল-তরবারি হাতে মিছিল করতে? ”
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘পুলিশ সমঝোতা’- শুনে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবু বলেন, “এখন মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন, তাঁর কথা পুলিশ শুনছে না। এই যদি অবস্থা হয়, সাধারণ লোক কেন তাঁর কথা শুনবে? তাঁর কথা প্রশাসন শুনছে না, পার্টি শুনছে না। কেউ শুনছে না। কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত নানা ধরনের হিংসা ছড়িয়ে পরছে। যে ধরনের খুনোখুনি প্রতিদিন চলছে, তাতে টিএমসি-র লোকেরা হয় খুনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, না হয় মারা যাচ্ছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি-র অন্যতম জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ‘হিন্দুস্থান সমাচার’ নামের একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাংলার সংস্কৃতির কথা বলছেন। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি তো সর্ব ধর্ম মনোভাব! এটা উনিই নষ্ট করছেন। আল্লার নাম চলবে, অথচ রামের নাম মিছিল বার হলেই যত দোষ? এখানে রাম-রহিমের বিভাজন কে করছেন? আমরা তো কখনও মহরমের তাজিয়া, অস্ত্র খেলার বিরোধিতা করিনি! বাধা দিইনি? উনি মুসলিমদের বাধা দেবেন না, আর হিন্দুদের টিনের তলোয়ার দেখে কাঁপছেন! এর জন্য তো দায়ী উনি নিজেই!”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন