কলকাতা : আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। 'জন সচেতনতাই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়' এই স্লোগান সামনে রেখে পুরসভা পালন করল বিশেষ দিনটিকে।
বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক দিনটি। সারা ভারতবর্ষ পালন করছে এই বিশেষ দিনটিকে। সংশোধিত জাতীয় যক্ষ্মা দূরীকরণের প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত কর্মীরা এদিন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় পালন করে।
১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ বার্লিনের ইনস্টিটিউট অফ হাইজিনে জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট কখ প্রথম ঘোষণা করেন তিনি যক্ষ্মা রোগের কারন আবিষ্কার করেছেন। এই ঘটনার শতবর্ষ উদযাপনের সময়েই ২৪ মার্চ তারিখটিকে ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ হিসাবে পালনের ডাক দেয়। ১৯৯৫ থেকে প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা ও কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠন দিনটি উদযাপন শুরু করে।
২০১১ সালে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৪ লাখ।১৯৯০ সালের পর যক্ষ্মা রোগে নিহতের সংখ্যা ৪০ ভাগ কমে এসেছে। এখনও কমছে। দ্রুত যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার কারণে যক্ষ্মার প্রকোপ কমে আসছে। তবে এখনও যক্ষ্মা সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
কলকাতা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান কার্যালয় ‘ট্যাংরা চেষ্ট ক্লিনিক’ থেকে এ দিন শুরু হয় এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা| দীর্ঘ পথ ঘুরে পদযাত্রা শেষ হয় বেলেঘাটায় রাজ্য যক্ষ্মা প্রশিক্ষণ সেন্টারে। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ।এ ছাড়াও ছিলেন মেয়র পারিষদ (বস্তি উন্নয়ন ও পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার, পুরসভার বরো সাতের ডঃ শুভেন্দু শীল। সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন কলকাতা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মুখ্য আধিকারিক ডঃ বিজয় কর।
অতীন ঘোষ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুরসভা, ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আগামী দিনে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সকলকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। মানুষকে যক্ষ্মা সম্পর্কে আরও সচেতন করতে এ দিন অনুষ্ঠানের শেষে শুরু হয় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন