অতনুর পর এবার প্রিন্স! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী মেধাবী পড়ুয়া - Aaj Bikel
অতনুর পর এবার প্রিন্স! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী মেধাবী পড়ুয়া

অতনুর পর এবার প্রিন্স! বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী মেধাবী পড়ুয়া

Share This

কলকাতা: চাকরি জুটলেও টিকছিল না৷ তা থেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন যুবক৷ সেই অবসাদেই আত্মঘাতী  যাদবপুরের বাসিন্দা প্রিন্স ভট্টাচার্য (৩৫)৷ এমনটাই দাবি পরিবারের৷ শনিবার সকালে নিজের ঘর থেকেই প্রিন্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি৷ মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷

শিক্ষা ও চাকরির সমস্ত আপডেট পেতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন৷ 

 

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রায়পুর রোডের বাসিন্দা প্রিন্স পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিলেন৷ মা -বাবা ও এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি৷ পড়াশোনা শেষে চাকরি পান, তবে তা টেকেনি৷ কিছুদিন আগে আলিপুরদুয়ারে একটি চাকরি করছিলেন, সেটাও ধরে রাখতে পারেননি৷ গত কয়েক মাস ধরে বেকার অবস্থাতেই দিন কাটছিল৷ বন্ধু-বান্ধবদের বলেও চাকরির বন্দোবস্ত না হওয়ায় প্রিন্স ক্রমে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন৷

চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে


পড়াশোনার সঙ্গে হাতের কাজেও প্রিন্স বেশ পারদর্শী ছিলেন৷ ক’দিন আগেই এক বন্ধুর বিয়েতে তত্ত্ব সাজিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন৷ সে সূত্রেই বাড়ি থেকে তাঁকে হাতের কাজের দোকান খুলে বসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল৷ এ নিয়েই বাবা -মায়ের সঙ্গে প্রিন্সের টানাপোড়েন চলছিল বলে জানা যাচ্ছে পড়শিদের থেকে৷

শূন্য থেকে ১৬২! চাকরির পরীক্ষায় বড়সড় ‘নম্বর কেলেঙ্কারি’ বাংলায়


গত আট মাস আগে বেকারত্বের জ্বালায় সোনারপুরের মেধাবী ছাত্র অতনু মিস্ত্রি আত্মঘাতী হন৷ অতনুর মৃত্যুতে ঝড় উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ অতনুর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করেছেন তাঁর বন্ধুরা৷ এই দুর্ঘটনার পর আরও একটি অঘটনের খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এমএ পাশ করার পর মিলেছিল ঘর মোছার চাকরি। পদে পদে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে৷ নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পেয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ভবানীশঙ্কর পাল৷ হাওড়ার বালির নিমতলা ঘটনা৷ এবার প্রায় আট মাসের ব্যবধানে ফের প্রকাশ্যে এল আরও একটি দুর্ঘটনার খবর৷  

কোন মন্তব্য নেই: