আগরতলা: সারা দেশের সঙ্গে সংগতি রেখে ত্রিপুরায়ও উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে রঙের উৎসব হোলি৷ তবে নির্বাচনী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবারের রং খেলার আমেজে ভাটা পড়েছে। বাধ সেধেছে পুলিশের বাড়তি কড়াকড়ি। প্রথা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ছিল দোল যাত্রা। শুক্রবার রং আর আবিরে হোলি খেলা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সমস্ত দেবতার মন্দিরে ছিল প্রচুর ভিড় ৷ বিশেষ করে আগরতলার রাজন্য স্মৃতিবিজড়িত লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে ছিল উপচে পড়া ভিড়৷
হোলি মানে হিন্দুদের অন্যতম আরাধ্য দেবতা শ্রীকৃষ্ণকে রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন৷ এদিন সখিরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পবিত্র আবির দিয়ে রাঙিয়ে দিয়ে থাকেন ৷ তাই এদিন সমস্ত শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে ছিল ব্যাপক ভিড় ৷ এই উৎসবকে দোলযাত্রা হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়৷ এজন্য অনেক বাড়িতে অস্থায়ী বেদি তৈরি করেও দোল উৎসব পালন করার রীতি রয়েছে কোথাও কোথাও৷
সাধারণত ত্রিপুরায় হোলি খেলা হয় দোলপূর্ণিমার পরের দিন ৷ তবে এবার দোলপূর্ণিমার দিনেই রাজ্যের অনেক স্থানে বাহারি রঙের আবিরে খেলা হয়েছে ৷ শুক্রবার ত্রিপুরার সর্বত্র সাধারণ মানুষ রঙের উৎসবে মেতে উঠছেন ৷ কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলতে থাকায় পুলিশি কড়াকড়িত আনন্দে ভাটা পড়েছে। যানবাহন চলাচলে রয়েছে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। দ্বিচক্র যানে চালক ভিন্ন অন্য কাউকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাজ্যে বরাবরই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মেজাজে হোলি উদযাপিত হয়৷ তবে শনিবার বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হতে চলেছে৷ তাই অনেকেই আবির জমিয়ে রেখেছেন শনিবারের জন্য৷ সেদিক থেকে এবার ত্রিপুরায় তিনদিন ধরেই চলবে হোলির পার্বণ ৷ যদিও রীতি অনুযায়ী সাতদিন চলে দোলপূর্ণিমা ৷
বাজারে ইতিমধ্যেই গেরুয়া আবিরের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গেরুয়া আবিরের মজুত শেষ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নির্বাচনে বিজেপি-র সম্ভাব্য জয়ের কথা বিবেচনা করেই এই স্থিতি। লাল আবির পাওয়া গেলেও সঙ্কট রয়েছে। অন্য রঙের অবশ্য অভাব নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন