সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই যে ৫টি বিষয় জেনে রাখা জরুরি - Aaj Bikel
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই যে ৫টি বিষয় জেনে রাখা জরুরি

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই যে ৫টি বিষয় জেনে রাখা জরুরি

Share This

চাকরি চলে যাওয়ার কোনও ভয় নেই, রোজ দশটা-পাঁচটার কাজ, বছরে অফুরন্ত ছুটি, মাথার উপর বস-এর কোনও টার্গেট নেই, এইরকম একটা চিরন্তন ধারণা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী প্রতি বছর ঝাঁপিয়ে পড়ছে সরকারি চাকরির উপর। তবে চাকরি পাওয়ার আগে পর্যন্ত কোনোভাবেই সম্ভব নয়, সেই জগতটা কীরকম সে সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্রটা যাচাই করার।

ইউপিএসসি, এসএসসি, পিএসসি থেকে শুরু করে অজস্র সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রতি বছর সরকারি দফতরের কাজ-কর্ম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্তরে কর্মী নিয়োগ করে চলেছে। যারা আগামীদিনে এই সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে চাইছেন বা ইতিমধ্যে কিছুদিন হল শুরু করেছেন, তাঁদের অবশ্যই কিছু জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন।

সরকারি কর্মচারিদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সার্ভিস অ্যাক্টস অ্যান্ড রুলস আছে। চাকরিতে নিয়োগ হলেই এই নিয়ম-কানুন চাক্ষুষ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। যেমন সার্ভিস অ্যাক্ট-এর ৩১১ নম্বর আর্টিকেল অনুযায়ী, কোনও সরকারি চাকরিজীবীর সরাসরি পদস্খলন বা অপসারণ হতে পারে না, তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত কমিটি তৈরি করে, তাঁদের বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেরকমই সরকারি সার্ভিস রুলস অ্যান্ড অ্যাক্ট-এর অজস্র গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যেগুলি আগে থেকে জানা খুব দরকার। এগুলি জানার সুবিধার্থে একটি লিংক দিয়ে দেওয়া হল- http://dopt.gov.in/ais-rules৷

সরকারি চাকরির অবশ্যই একটি আকর্ষণীয় দিক হল বেতনক্রম। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সরকার একটি কমিশন গঠন করে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, দ্রব্যমূল্য— এরকম বিবিধ বিষয়ের উপর নির্ভর করে পে-কমিশন তাদের রিপোর্ট তৈরি করে। সুতরাং সরকারি চাকরির প্রার্থীদের অবশ্যই এই পে-কমিশনের রিপোর্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা দরকার।

ডিজিটালাইজেশনের যুগে খুঁজলে কিন্তু হাতের কাছে অনেক কিছুই পাওয়া যায়, সেরকম সরকারি কর্মচারীদের জন্য “Office Procedure”-এর ম্যানুয়াল তৈরি হয়। ওয়ার্ক কালচার সম্বন্ধে সরকারি ক্ষেত্রে অনেক দুর্নাম আছে, যেটা নিজেদেরকেই পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি দপ্তরের ফাইল সিস্টেম, রেকর্ড মেইনটেইন প্রসেস, কমিউনিকেশন প্রসেস এরকম সমস্ত কিছুই ম্যানুয়াল-এর মধ্যে থাকে। এগুলি দেখার জন্য রয়েছে সরকারের প্রশাসনিক সংস্কার ও অভিযোগ দপ্তর, যাদের ওয়েবসাইট থেকে এগুলি জেনে রাখা যেতে পারে। ওয়েবসাইট: www.darpg.nic.in৷

যেখানে চাষ হবে, তার মাটি কেমন সেটা জানাটাই কিন্তু আসল। তাই বলা যায়, সে দপ্তরগুলির জন্য আপনি আবেদন করছেন, বা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর সম্বন্ধে আগে থেকে সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়ে রাখা দরকার। এটা কিন্তু আবার লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে যাওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইন্টারভিউ বোর্ডে গিয়েও কাজে লাগবে।

প্রতি বছরই সবরকম সরকারি দপ্তর মিলিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তবু কিছু সেক্টর থাকে যেখানে সময়ের উপর নির্ভর করে নিয়োগের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সরকারি চাকরিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই কোন দফতর বা সেক্টরগুলিতে আগামী দিনে নিয়োগের সম্ভাবনা বা সুযোগ বেশি সে সম্পর্কে একটা নেট প্র্যাক্টিস করে রাখা দরকার। যেমন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অনায়াসে বলা যায়, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, বীমা, কর ক্ষেত্রে ২০১৮-১৯ বর্ষে চাকরির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: