নয়াদিল্লি: ফের ব্যাঙ্কিং কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও নিরীক্ষকদের কাঠগড়ায় তুললেন অরুণ জেটলি। শনিবার অর্থমন্ত্রী বলেন, "অর্থনীতির স্বার্থে দেশে যাতে সহজে ব্যবসা করা যায় সেজন্য সরকারের তরফে ব্যাবসার নিয়ম কানুন অনেক সহজ সরল হয়েছে। কিন্তু পিএনবি জালিয়াতির মতো ঘটনা যদি বারবার ঘটে তবে সরকার সেই নিয়ম কানুন কঠোর করতে বাধ্য হবে। এর জেরে আখেরে অর্থনীতির ক্ষতি হবে।"
পাশাপাশি বললেন, ''প্রতারকদের শাস্তি দিতে দরকারে কঠোর আইন আনবে সরকার।'' জেটলির দাবি, এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের কাঠগড়ায় তোলা হলেও নিয়ন্ত্রকদের ভূমিকাও রয়েছে। এদিন একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ''ঋণদাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের ইতি টানতে হবে। অনৈতিক কারবারের অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছে।'' দুর্নীতির মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মনে করিয়ে খানিকটা অনুযোগের সুরেই অরুণ জেটলি বলেন, ''দুর্ভাগ্যবশত ভারতীয় ব্যবস্থায় রাজনীতিবিদদেরই কাঠগড়ায় তোলার রেওয়াজ। অথচ নজরদারি সংস্থাগুলির গাফিলতির ক্ষেত্রে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় নেই। কিন্তু ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মত ঘটনাগুলি যদি আমরা আগেভাগে রোধ করতে না পারি। তবে দেশের অর্থনীতির উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়বে।"নিয়ন্ত্রকদের উচিত তৃতীয় চোখ খোলা রাখা।''
এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল প্রশ্ন করেন, ''নিয়ন্ত্রকদের শুধুমাত্র দোষী করা হচ্ছে কেন? কেন অর্থমন্ত্রক জানে না? ব্যাঙ্কে সরকারের প্রতিনিধিরাই বা কী করছিলেন?'' এনিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন সিব্বল।
জেটলি পাল্টা সওয়াল করেন, ''পিএনবি জালিয়াতিতে ব্যাঙ্কের ১১,৪০০ কোটি টাকা লুঠেছে নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসি। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিকে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বা ব্যর্থ ব্যবসার শ্রেণিতে ফেলা উচিত নয়। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরির উদ্যম বাধাপ্রাপ্ত হবে। দেশের অর্থনীতির পক্ষেও এটা কলঙ্ক।''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন