এবার থেকে সাংসদ ও বিধায়কদের অপরাধজনিত মামলা শুনবে বিশেষ আদালত - Aaj Bikel
demo-image
920x920

এবার থেকে সাংসদ ও বিধায়কদের অপরাধজনিত মামলা শুনবে বিশেষ আদালত

Share This

নয়াদিল্লি : এবার থেকে সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে অপরাধজনিত মামলা শুনবে বিশেষ আদালত| সুপ্রিমকোর্টের আদেশের পর ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট দু’টি স্পেশাল কোর্ট গঠন করেছে| হাইকোর্টের দেওয়া নোটিশের বিত্তিতে জানা গিয়েছে যদি কোনও সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে ওঠে তার দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্যই এই দু’টি বিশেষ আদালত খোলা হয়েছে| এই বিশেষ আদালতে আগামী ১ মার্চ থেকে শুনানির কাজ শুরু করে দেওয়া হবে| এই দু’টি বিশেষ আদালতের দায়িত্বে থাকবেন বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং সমর বনশাল| পাটিয়ালা হাউস কোর্ট চত্বরে এই দু’টি কোর্ট তৈরী করা হবে| এবার থেকে সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় মামলা এই দু’টি আদালতে স্থানান্তরিত করা হবে| জানা গিয়েছে, এই দু’টি বিশেষ আদালতে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টের মত কাজ করবে এবং এক বছরের মধ্যেই সংশ্লিস্ট মামলার নিষ্পত্তি করবে|

প্রসঙ্গত গত ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বিধায়ক এবং সাংসদদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি মামলা গুলি দ্রুত নিষ্পত্তি জন্য হায়কর্তকে বিশেষ ১২ টি আদালত গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছিল| সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল এই কোর্টগুলি আগামী ১ মার্চ থেকে তাদের কাজ শুরু করবে| আদালত বলেছিল এই ধরনের কোর্টের সংখ্যা আগামী দিনে বাড়ানো হবে কিনা প্রয়োজন অনুযায়ী পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে|

এফিডেভিটের আবেদনকারী এবং আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে যাতে নির্দেশ দেন সাংসদ ও বিধায়কদের মুলতুবি থাকা প্রসিকিউশন মামলার সব ক’টি সদস্য ও বিধানসভার কাছে হস্তান্তর করে। এই সমস্ত বিবরণ ৯০ দিনের মধ্যে যাতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেন| যারা জমা না দেবেন তাদের জিরো হিসাবে ঘোষণা করা হয় না।

 ২০১৭ সালে ১২ ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র আদালতে হলফ নামা দায়ের করে বলেছিল সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলি ১২ টি স্পেশাল কোর্টে ট্রায়ালের জন্য স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে| এর পর সুপ্রিমকোর্ট পয়লা নভেম্বর কেন্দ্রকে জানায় যে দেশব্যাপী এই ধরনের বিশেষ আদালত গঠন করা যায় কিনা সে ব্যাপারে ভাবনা-করতে| এই আদালতগুলিতে যাতে সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজদারি মামলাগুলিকে ফার্স্টট্রাক কোর্টের মতই পাঁচ বছরের মধ্যে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যেতে পারে| গত পয়লা নভেম্বর ২০১৭ সালে কেন্দ্র সরকার সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের আজীবন নির্বাচনে লড়ার স্থগিদাদেশের ব্যপারে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি| কেন্দ্র সুপ্রিমকোর্টকে জানিয়েছে এখনও এই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে| এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ছয় সপ্তাহ সময় দেয়|
Comment Using!!

কোন মন্তব্য নেই:

Pages