পাথারকান্দি : দুবছর হয়ে গেছে, এখনও পাথারকান্দি মহকুমার অন্তর্গত গরিব ক্ষতিগ্রস্তরা ঘূর্ণিঝড়ের সরকারি ক্ষতিপূরণ পাননি। সত্বর তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে এবার সরাসরি বিধায়কের শরণাপন্ন হয়েছেন ভুক্তবোগীরা।
ভুক্তভোগীদের অনেকে বলেছেন, তদানীন্তন কংগ্রেস আমলে পাথারকান্দির বিধায়ক মণিলাল গোয়ালার নির্বাচন ক্ষেত্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়, ঝঞ্ঝা, শিলাবৃষ্টির মতো দুর্যোগ প্রবাহিত হয়েছিল। এলাকার প্রায় চল্লিশ শতাংশ জনগণের বাড়িঘর তছনছ হয়ে গিয়েছিল। ঘরের দেওয়াল, টিনের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য বসতঘর ভূপতিত করে দিয়েছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছিল বহু যানবাহনের।
এর পর সরকারি সাহায্য প্রাপ্তির জন্য প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী সব বিধি রক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্তরা নিজের নিজের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত ছবি সংবলিত আবেদনপত্র পাথারকান্দি সার্কল অফিসে জমা করেছিলেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু সে আশা আজ দু বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও ফলপ্রসূ করেনি সরকারি যন্ত্র। এ নিয়ে সরকারের গরিমসির ফলে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে আবেদনকারী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
তাঁদের অভিযোগ, নতুন সরকারের আমলে সরকারি সাহায্য তাঁরা পাবেন বলে বুক বেঁধে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরিবর্তনকামী নতুন সরকারও তাঁদের প্রতি সুনজর দিচ্ছে না দেখে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত তফজ্জুল আলি, অর্জুন তেলি, অনরজিৎ গোয়ালা, হেরাই মিয়াঁ, মনজুর আহমেদ, বিজয় পাসি, নির্মল বৈদ্য, আবুল হুসেন, চরিত্র দাস, বিজয় রবিদাস, অজয় আঁকুড়া, সঞ্জয় চন্দরা। তবে তাঁরা বলেছেন, সে সময় পাথারকান্দি এলাকার অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্ত আবেদনপত্র জমা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩,৫০০ মানুষের নাম তালিকাভুক্ত হয়। এই তালিকার ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ডেকে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট গ্রামপঞ্চায়েত সচিবরা। তাঁদের কাছ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই সার। এর পর সব ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের নজরে নেওয়া হয়েছে। তিনি নাকি তাঁদের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন, জানিয়েছেন ভুক্তবোগীরা।
এদিকে কয়েকজন পঞ্চায়েত সচিবদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তাঁরা জানান, দশ হাজার টাকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সাহায্য প্রদান করা হবে বলে তাঁদের কাছে খবর ছিল। তবে কতিপয় আবেদনকারীর আবেদনপত্রে নানা ত্রুটি থাকায় সেগুলো ফের পরীক্ষা করে বিভাগীয় দফতরে পাঠানো হয়েছে। সরকার কেন টাকা রিলিজ করছে না তা তাঁরা (সচিব) জানেন নার্
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন