একটা সময় ছিল, যখন এত শারীরিক পরীক্ষা সহজলভ্য ছিল না, তখন চিকিৎসকরা সকলেই শরীরের বিভিন্ন অংশ নজর দিয়ে একজনের অসুস্থতাকে ডায়গোনেসিস করতেন। এখন, হাত বাড়ালেই হাজারো পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে সুস্থতার মাত্রা জানার উপায় থাকায় এই সব পর্যবেক্ষণকে চিকিৎসকরা খুব একটা নজর দেন না। কিন্তু, একজন সাধারণ মানুষের বোধগম্য এই ডায়াগোনেসিস এখনও প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। বিশেষ করে, নখের রং নজরে রাখাটা। কারণ, এই নখের রং-ই ইঙ্গিত দিতে পারে আপনার অসুস্থতার। শুধু জেনে নেওয়া কয়েকটি বিষয়, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে জ্ঞান না থাকলেও একজন এই নখ দেখেই মোটামোটি আঁচ করতে পারেন অসুস্থতাকে।
১) নখের রঙ হলুদ হওয়া শরীরে রক্তাপ্লতার লক্ষণ, যাকে আমরা ‘অ্যানিমিয়া’ বলে জেনে থাকি। সাধারণত মহিলাদের হাতের নখ বেশি হলুদ হয়। কারণ, জেনেটিক্যালি তাঁরা ‘অ্যানিমিয়া’য় বেশি ভোগেন।
২) তবে যাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাঁদের, আঙুলের নখও প্রবল হলুদ থাকে। কারণ, সমুদ্রের নোনা জল নখকে হলুদ করে দেয়।
৩) আবার নখের রঙ হলুদ এবং অমসৃণ হওয়া মানে হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও, নখের এই ধরনের প্রবণতা থাইরয়েড অথবা ডায়াবেটিসের জন্যও হয়ে থাকে।
৪) নখের তলায় ‘ফাংগাল ইনফেকশন’ হলে হলুদ রঙ হয়।
৫) নখের রঙ সাদা হওয়া মানে গুরুতর লিভার বা কিডনির সমস্যা আছে।
৬) নখের উপরে কালো ছোপ মানে ত্বক-ক্যান্সারের সম্ভাবনা। এটাকে ‘সাবানগুয়াল মেসানোমা’-ও বলা হয়।
৭) নখের এবড়ো-খেবড়ো ভাব বা চির মানে শরীরে ভিটামিন এ, বি অথবা সি-এর অভাব আছে।
৮) অনেক সময় এক একজনের নখগুলি ফুলে টোপা টোপা হয়ে যায়, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘ক্লাবিং নেল’ বলে। এটা হৃদযন্ত্র এবং গুরুতর ব্রঙ্কাইটিস অথবা লাং ইনফেকশনের লক্ষণ।
তাই চিকিৎসকদের মতে, নখ সবসময় পরিস্কার রাখা উচিত। এতে অবাঞ্চিত বিভিন্ন জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে না, তেমনি, নখে ফাংগাল ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমে যায়। সেইসঙ্গে নখের স্বাভাবিক রঙে কোনও বদল এলে তা নজরে পড়াটা সহজ হয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন