নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর একাধিক বিদেশ সফরের এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাপ্য বিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি বিদেশমন্ত্রককে প্রকাশ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন(আরটিআই)|
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে যাওয়ার যাবতীয় খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের পক্ষ্য থেকে| এব্যাপারে বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে ছিল, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের বিমানভাড়ার ব্যাপারে বায়ুসেনা ও এয়ার ইন্ডিয়ার দেওয়া বিলের পরিমাণ, রেফারেন্স নম্বর, তারিখ সবই নানা জায়গায় বিভিন্ন ফাইলপত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, আবেদনকারীর দাবি মত সেসব একত্রে জড়ো করতে গেলে প্রচুর নথি, ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে, এটা অনেক লোকের কাজ।
প্রসঙ্গত, ওই নথি চেয়ে আবেদন করেছিলেন কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) লোকেশ বাত্রা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উড়ান সংক্রান্ত বিল, ইনভয়েস ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে প্রচুর নথি, ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটির জন্য লোক বলের প্রয়োজনের কথা জানালেও, মন্ত্রকের বক্তব্য মানতে নারাজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আর কে মাথুর। শুনানির সময় বাত্রা জানান, তাঁকে এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রক অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তারপরই তিনি কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, তথ্য কমিশন আইন সংক্রান্ত ব্যাপারে এই কমিশনই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। বাত্রা বলেন, এয়ার ইন্ডিয়া অর্থাভাবে ধুঁকছে। ফলে এই বিলের টাকা মেটাতে দেরি হলে তার সুদ বেড়ে যাবে, শেষ পর্যন্ত তা পরিশোধ করতে হবে জনসাধারণের করের টাকায়। ওই বিল মেটানোর বিষয়টি কী অবস্থায় আছে, সরকারের কোন স্তরে আটকে রয়েছে, তা দেশবাসীর সামনে আনতে চান বলে জানিয়েছেন বাত্রা।
বাত্রার দাবি, জাতীয় সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে এইসব নথি প্রকাশ বন্ধ রাখা যায় না। কেননা এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবার পরিবর্তে গ্রাহকদের অর্থ মেটানোর দায় থাকে এক্ষেত্রে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে কমিশনার মাথুর মন্ত্রকের বক্তব্য খারিজ করে দিয়ে বলেন, বিদেশমন্ত্রককে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের ভাড়া বাবদ এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাপ্য বিল সংক্রান্ত তথ্য আবেদনকারীকে দিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন