ছয়মাসে একদিন স্কুলে হাজির শিক্ষক! এটাও সম্ভব? - Aaj Bikel
ছয়মাসে একদিন স্কুলে হাজির শিক্ষক! এটাও সম্ভব?

ছয়মাসে একদিন স্কুলে হাজির শিক্ষক! এটাও সম্ভব?

Share This

 

করিমগঞ্জ (অসম): রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে সরকার যখন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে, তখন মাসের পর মাস স্কুলে অনুপস্থিত টেট শিক্ষক নবেন্দু দাসের বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষেপেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, টেট শিক্ষক নবেন্দু দাস নাকি দীর্ঘ ছয়মাসে স্কুল করেছেন মাত্র একদিন! শিক্ষকের লাগাতার স্কুল কামাইয়ের ঘটনায় বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক-বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাঁরা সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।


উত্তর করিমগঞ্জ শিক্ষা খণ্ডের অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হিজিম এমই মাদ্রাসায় এই শিক্ষকের স্কুল কামাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তবর্তী হিজিম গ্রামে একই ক্যাম্পাসে প্রাথমিক শিক্ষার দুটি প্রতিষ্ঠান হিজিম এমই মাদ্রাসা এবং ১৩৬ নম্বর হিজিম মক্তব। হিজিম এমই মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৮৯ এবং হিজিম মক্তবে প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী। সদ্য অনুষ্ঠিত গুণোৎসবের পর বিভাগীয় সিদ্ধান্তে মক্তবকে এমই স্কুলের সঙ্গে উভয় প্রতিষ্ঠানকে একত্রীকরণ হয়েছে। বর্তমানে হিজিম এমই স্কুলের ছাত্রছাত্র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন শতাধিক। সব শিক্ষকরা যথারীতি স্কুল চালিয়ে গেলেও টেট শিক্ষক নবেন্দু দাসের লাগাতার অনুপস্থিতিই বিপত্তি ঘটিয়েছে।

স্কুলে মোট পাঁচজন সরকারি শিক্ষক থাকলেও এক টেট শিক্ষকের লাগাতার স্কুল ফাঁকির কারণে শিক্ষক সংখ্যা চারে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর নিম্ন অসমের শোণিতপুরের বাসিন্দা নবেন্দু দাস ১৩৬ নম্বর হিজিম মক্তবে কাজে যোগদান করে লাগাতার স্কুল কামাইয়ে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ ছয়মাসের মধ্যে শুধুমাত্র গুণোৎসবের দিন তিনি স্কুলে উপস্হিত হয়েছিলেন বলে মক্তবের প্রধান শিক্ষিকা প্রথমা বারই এবং অন্যান্য শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

স্কুলের শিক্ষকরা-সহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, টেট শিক্ষকের স্কুল কামাইয়ের বিষয়টি বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও ওই টেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে বৃহত্তর এলাকার একমাত্র স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়ার অভিযোগ উঠেছে। কারণ প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে সুষ্ঠু শিক্ষাদানের জন্যে চারজন শিক্ষক পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ। ‘ফাঁকিবাজ’ টেট শিক্ষক নবেন্দু দাসকে ‘আজীবন চাকরি থেকে বরখাস্ত’-এর পাশাপাশি হিজিম এমই মাদ্রাসায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করার দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

কোন মন্তব্য নেই: