কলকাতা : ‘ বাংলা মানেই ব্যবসা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার নিউ টাউনের ‘বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার’-এ শুরু হল ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’ । এই সম্মেলনকে ঘিরে গোটা কনভেনশন সেন্টার চত্বর রীতিমতো উৎসবের চেহারা নিয়েছে ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজ্য সরকার আয়োজিত ওই শিল্প সম্মেলনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন সস্ত্রীক লক্ষ্মী মিত্তল, মুকেশ অম্বানী, সজ্জন জিন্দলের মতো প্রথম সারির শিল্পপতিরা । উদ্বোধনের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, প্রসূন মুখোপাধ্যায়, কিশোর বিয়ানি, হিরানন্দানি, উদয় কোটাক, অজয় সিংহ, সঞ্জীব গোয়েন্কা, হর্ষ নেওটিয়া । রয়েছেন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ঘোষ । আছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র । উদ্বোধনের পর মঞ্চে উপস্থিত শিল্পপতিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন সকালেই কনভেনশন সেন্টারে পৌঁছে যান । ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি এ বারের শিল্প সম্মেলন নিয়ে যথেষ্ট আশা প্রকাশ করেছেন । এ বারের সম্মেলনে ন’টি সহযোগী দেশ-সহ অন্তত ৩০টি দেশ যোগ দিয়েছে । রয়েছে, ব্রিটেন, জাপান, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, চিন এবং রাশিয়ার মতো দেশ । সব দেশে থেকেই প্রতিনিধিরা এসেছেন বলে রাজ্য সরকার সূত্রে খবর । কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা আগেই রাজ্যে পা রেখে স্থানীয় শিল্পমহলের সঙ্গে এক প্রস্ত আলাপ সেরে ফেলেছেন । উদ্বোধনের পর মুকেশ অম্বানী বলেন, ‘আজকের কলকাতা একেবারে নতুন। ওয়েস্ট বেঙ্গলকে বেস্ট বেঙ্গল করতে আমরা বদ্ধ পরিকর’ ।
সোমবার রাতেই শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন সজ্জন জিন্দল । এদিন সকালেই তিনি কনভেনশন সেন্টারে পৌঁছে যান । নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগেই সেন্টারে পৌঁছন মুকেশ অম্বানী । স্ত্রী ঊষাকে নিয়ে হাজির হন শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তল । সকাল ১১টার পর থেকেই একে একে সকল অভ্যাগতরা সম্মলনে আসতে শুরু করেন । ঠিক সাড়ে ১১টার সময় মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে আসেন । সঙ্গে সস্ত্রীক লক্ষ্মী মিত্তল, মুকেশ অম্বানী, অমিত মিত্র ।
‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’কে ঘিরে গোটা চত্বর রীতিমতো উৎসবের মেজাজে সেজে উঠেছে । সম্মেলনে আগত অভ্যগতদের গাড়ি কনভেনশন সেন্টার থেকে কয়েকশো মিটার দূরে পার্ক করতে হচ্ছিল । তারপর তাঁদের মূল প্রবেশপথ পর্যন্ত ছোট গাড়ি করে আনা হয় । আজকের সামিটের পর সেখনে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রদর্শন করা হবে । কীর্তন থেকে লোকনৃত্য, লোকসঙ্গীত থেকে পাহাড়ি সংস্কৃতির স্বাদ দেওয়া হবে উপস্থিত শিল্পপতিদের ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন