বাংলার জন্য সুখবর, ১০ হাজার কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা সজ্জন জিন্দলের - Aaj Bikel
বাংলার জন্য সুখবর, ১০ হাজার কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা সজ্জন জিন্দলের

বাংলার জন্য সুখবর, ১০ হাজার কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা সজ্জন জিন্দলের

Share This


কলকাতা : বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা লগ্নির কথা ঘোষণা করলেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দল ৷ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগেই বাস্তব রূপ পেয়েছে জিন্দাল গোষ্ঠীর দশ বছরেরও পুরনো প্রতিশ্রুতির ৷ সোমবারই শালবনীতে জিন্দালদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি হওয়া এই কারখানা বাংলার শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ এখানে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে ৷ তার একদিন পরেই আরও বড় লগ্নির সুখবর পেল রাজ্য৷

মঙ্গলবার রাজার হাটে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল বলেন, আগামী কয়েক বছরে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে ৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করবে জিন্দল গ্রুপ ৷ আমাদের লগ্নির ব্লু-প্রিন্ট তৈরিই আছে ৷ একইসঙ্গে রাজ্যের শিল্পায়ন নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল৷ পরিকাঠামো-সহ নানা ক্ষেত্রে নজরকাড়া উন্নয়নের পুরো কৃতিত্বটাই তিনি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ বদলে যাওয়া বাংলায় বিনিয়োগের জন্য বাকি শিল্পপতিদেরও আহ্বান জানিয়ে শিল্পপতি জিন্দল বলেন, "বাংলায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে৷ বাংলায় বিনিয়োগ করতে বলব সবাইকে ৷ এত ভালবাসা কোথাও পাইনি ৷ শালবনিতে কারখানা করতে সাহায্য পেরেছি, এই কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷"

সোমবারই শালবনীতে উদ্বোধন হয়েছে জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানার ৷ শালবনীর কারখানা থেকে বছরে ২৪ লক্ষ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হবে ৷ ইতিমধ্যেই ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এতে ৷ ভবিষ্যতে সিমেন্ট কারখানার জন্য আরও ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে ৷ প্রায় ৮০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ওই কারখানায় ৷ শিল্পের জন্য বাম আমলে শালবনীর জামবেদিয়ায় ফডারফার্ম এ ৪,৩৩৪ একর জমি নেয় জিন্দল গোষ্ঠী । ওই বছরের ২ নভেম্বর কারখানার শিলান্যাস সেরে মেদিনীপুরে ফেরার পথে ভাদতুলায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় লক্ষ্য করে মাইন বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা ৷ অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান মুখ্যমন্ত্রী সহ তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ তারপর থেকে জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় কারখানা নির্মাণের কাজ ৷ একসময় শালবনী থেকে নিজেদের ইস্পাত প্রকল্প গুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে জিন্দল গোষ্ঠী ৷ পরে পালাবদলের বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অবশেষে কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু হয় ৷

২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি শালবনীতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । স্বভাবতই, দু’বছরের মধ্যে সিমেন্ট কারখানা চালু হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা ৷ প্রথমে ঠিক ছিল এখানে ইস্পাত কারখানা হবে । পরে কয়লার সমস্যায় তা স্থগিত হয়ে যায় । সিমেন্ট শিল্পের হাত ধরে ব্যবসা শুরুর উদ্যোগ নেন জিন্দালরা । আজ তারই পথচলা শুরু । তবে, স্থানীয়রা চান, দেরিতে হলেও এখানে ইস্পাত কারখানা তৈরি করুক রাজ্য সরকার ৷

কোন মন্তব্য নেই: