আজ বিকেল: স্কুলে স্কুলে নজরদারি বাড়াতে এবার পরিদর্শকদের ঘারেই বন্ধুক রাখল রাজ্য শিক্ষা দফতর৷ কোন স্কুলে শিক্ষক কত? ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাই বা কত? স্কুল ঠিকঠাক ভাবে চলছে কিনা প্রভৃতি বিষয় জানতে জেলা স্কুল পরিদর্শক ও সহ পরিদর্শকদের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল শিক্ষা দফতর৷ তবে, এই কাজে জেলার স্কুল পরিদর্শক ও সহ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ঠিকঠাক কাজ করছেন না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- শিক্ষার অধিকারে কেন্দ্রের উদারনীতি! সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য
শিক্ষা ও চাকরির বাজারে সমস্ত আপডেট জানতে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন৷
বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের বিধানসংঘ মাঠে পৌষালী মেলার উদ্বোধনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘স্কুল পরিদর্শক ও সহ পরিদর্শকদের যা করার কথা, তা তাঁরা করছেন না৷ অনেকের পুরানো অভ্যাস রয়ে গিয়েছে৷ পুরানো অভ্যাস কাটাতে মাথা বদল হয়েছে৷ রাজনৈতিক ভাবে অন্য লোক এসেছে৷ কিন্তু সেই ধর এখনও রয়ে গিয়েছে৷ তাঁরা আর নড়েন না৷ আমরা অনেক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি৷ তবে, এবার আর নয়, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলে সব ঠিক হয়ে যাবে৷’’
টেট সংক্রান্ত সমস্ত খবর পড়ুন এই লিঙ্কে
এদিন পৌষালী মেলা কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় পুর কাউন্সিলার মহম্মদ আলি ওই এলাকার শিক্ষার উন্নতিকল্পে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একটি বালিকা বিদ্যালয় ও দীর্ঘদিন ধরে একটি উর্দু স্কুলে কোনও ছাত্রছাত্রী না থাকলেও একজন শিক্ষক রয়ে গেছেন বলে তথ্য তুলে ধরেন৷ আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন পার্থবাবু রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকদের কাজকর্ম নিয়ে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ তিনি এদিন জানান, কেন উর্দু স্কুলের এই অবস্থা? কেন তাঁকে জানানো হয়নি? এব্যাপারে খোঁজখবর নেবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে শিক্ষকের অভাব নেই, কিন্তু আমরা জানতে পারছি না৷’’
উচ্চ প্রাথমিকের সমস্ত আপডেট জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এদিন কলকাতায় ফিরে গিয়েই ওই উর্দু স্কুলের শিক্ষককে অন্য কোনও উর্দু স্কুলে বদলীর ব্যবস্থা করবেন৷ পাশাপাশি এলাকার চাহিদা অনুসারে একটি বালিকা বিদ্যালয় ও ওই উর্দু স্কুলের পরিবর্তে সেখানে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের চাহিদা পূরণের বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন৷
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
এদিন পার্থবাবু বলেন, রাজ্য সরকার সর্বধর্ম সমন্বয়কে মাথায় নিয়েই উন্নয়নের কাজ করছেন৷ লাঠি সোঁটা দিয়ে নয়৷ একসময় মেয়েদের পড়ানোই হত না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন৷ কেউ কেউ সমালোচনা করছেন৷ তারা করতে পারেননি৷
চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
পার্থবাবু এদিন বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্যবইকে বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে৷ কেউ বই না পেলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ সব জেলায় জেলায় বই দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য শক্তপোক্ত শিক্ষার ভিত দরকার৷ সেই কাজই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন৷ নজরুলে বাংলার চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে৷ তাকে ধরে রাখার জন্য গোটা রাজ্য জুড়েই সংস্কৃতির প্রচার প্রসার জরুরি৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন