করিমগঞ্জ : শনিবার রাতে গোটা শহর যখন সংক্রান্তির আনন্দে মাতাল, তখন করিমগঞ্জের স্টেশন রোডে অবস্থিত কো-অপারেটিভ সোসাইটির খুচরো বিপণি ‘সহচরি’তে ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত রাত প্রায় দুটো নাগাদ। এতে বিপণির বহু লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সহচরি-র চেয়ারম্যান সুব্রত দেব জানান, গতকাল রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ তাঁর কাছে এই দুঃসংবাদ আসে। ঘটনাস্থলে তিনি ছুটে যান। লোকজনও জড়ো হতে থাকেন। কিন্তু যেহেতু সহচরি-র দ্বিতল ও তৃতীয় তলকে আগুন গ্রাস করেছে তাই সাধারণ মানুষজনের কিছুই করার ছিল না। ইত্যবসরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুলিশ ও তিনটি ইউনিট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মচারী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দেখে খবর পাঠানো হয় নিলামবাজার, পাথারকান্দি ও বদরপুরের ফায়ার সার্ভিসে। এর পর প্রায় আটটি ইঞ্জিন নিয়ে আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর জওয়ানরা।
টানা আট ঘণ্টা চেষ্টার পর আজ সকাল প্রায় সাড় নয়টা-দশটা নাগাদ আগুন নেভানো হয়েছে। আশপাশের আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা রক্ষা করতে পারলেও সহচরি-র দুটি তলায় মজুত সব সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রক্ষা পেয়েছে সহচরি-র গা ঘেঁষা ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার করিমগঞ্জ শাখা।
আগুন লাগার কারণ এখনও সুব্রতবাবুদের কাছে অস্পষ্ট। নৈশ প্রহরী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন চৌকিদার, তিনি থাকেন গ্রাউন্ড ফ্লোরে। তিনিও নাকি কী করে আগুন লাগলো তা বলতে পারছেন না। উল্লেখ্য, সহচরি-র দ্বিতল এবং ত্রিতলে মজুত ছিল বিপণির বহু লক্ষ টাকার মুদি এবং প্রসাদনী সামগ্রী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন