প্রশাসনের উপর ক্ষোভ নাগা সন্ন্যাসীদের একাংশের - Aaj Bikel
প্রশাসনের উপর ক্ষোভ নাগা সন্ন্যাসীদের একাংশের

প্রশাসনের উপর ক্ষোভ নাগা সন্ন্যাসীদের একাংশের

Share This

গঙ্গাসাগর  : প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নাগা সন্ন্যাসীদের একাংশ। বিশেষ করে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির মন্দিরের সামনে থাকা নাগা সাধুদের একটা অংশ এবারের মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিরক্ত। দুই নম্বর সেক্টরে থাকা নাগা সাধুদের কাছে ভক্ত সমাগম হচ্ছে না, আর এর পিছনে দায়ী এই সেক্টরে থাকা পুলিশ কর্মীরা। কারন এই নাগা সাধুদের কাছে ভক্ত বৃন্দকে ঘেষতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। অন্যপ্রান্তে সেক্টর একের দিকে থাকা নাগা সাধুদের কাছে উপছে পড়ছে ভক্তদের ভিড়। বারে বারে এ বিষয়ে প্রশাসনের সকল স্তরে জানিয়েছেন নাগা সাধুরা কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হয়নি এখনো।

কথায় বলে ‘কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাস’, গঙ্গাসাগর তীর্থে আসা নাগা সাধুদের ক্ষেত্রেও এবার এই কথা প্রযোজ্য হয়ে গেলো। কারন একদিকে যখন কয়েকজন সাধু সন্তদের কাছে উপছে পড়ছে ভিড়, ঠিক তখন অন্যদিকের সারিতে থাকা নাগা সাধুদের কাছে নেই কোন ভক্তদের ভিড়। মন্দিরের উল্টোদিকে থাকা নাগা সাধুদের কাছে ভক্তদেরকে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মেলায় ভিড় সামলাতে পুলিশের তরফ থেকেই এটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ ভিড়টাকে একদিক দিয়ে না সরিয়ে দুই দিক থেকে সরালে সকল নাগা সাধুরাই ভক্তদের আশীর্বাদ করার সুযোগ পেতেন বলে দাবী ভক্ত সমাগম থেকে বঞ্চিত সাধুরা।

বারে বারে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। একদিকে কপিল মুনির মন্দির লাগোয়া এক নম্বর সেক্টরে থাকা নাগা সন্ন্যাসীরা যখন দিনে কুড়ি হাজার টাকার বেশী প্রণামী পাচ্ছেন ঠিক তখন উল্টোদিকে থাকা নাগা সাধুরা দিনে দুশো টাকা ও প্রণামী পাচ্ছেন না। আর এই নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে সন্ন্যাসী মহলে। এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, “ আমাদের প্রথম দায়িত্ব, কর্তব্য গঙ্গাসাগর মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা। আর সেই নিরাপত্তার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে এই সমস্যা মেটানো যায় কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখছি”।

কোন মন্তব্য নেই: