শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিপাকে শিক্ষক - Aaj Bikel
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিপাকে শিক্ষক

শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিপাকে শিক্ষক

Share This

 

বর্ধমান:  শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিপাকে পড়েছেন বর্ধমানেরর বাজেপ্রতাপপুর এলাকার উর্দু স্কুলের শিক্ষক৷ কেন তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যলয়ের দু’জন আধিকারিক৷ এ নিয়ে ওই শিক্ষককে চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ 


গত শনিবার বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সেখানে তিনি এলাকার একটি উর্দু স্কুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ ছাত্রছাত্রী না থাকা সত্ত্বেও কেন একজন শিক্ষককে ওই স্কুলে রেখে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি সেদিন জানিয়েছিলেন৷ আর এর পরই গোটা বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়৷ 

মঙ্গলবার ওই স্কুল পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের দুই আধিকারিক৷ তাঁরা ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ৷ ফিরোজ স্থানীয় কাউন্সিলর মহম্মদ আলির মাধ্যমে কেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানালেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ওই দুই আধিকারিক৷ যদিও এ বিষয়ে ফিরোজ আহমেদ মুখ খুলতে চাননি৷ 

২০০২ সালে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় উর্দু শিক্ষার প্রসারে শোলাপুকুর হরেরডাঙা দুবরাজ ফ্রি প্রাইমারি স্কুল তৈরি হয়৷ কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রী নেই৷ অথচ সরকারি সমস্ত রকমের অনুদান পায় স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এখন ওই স্কুলের একমাত্র শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ৷ তিনি ওই স্কুল থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন৷ কারণ, তিনি আসানসোলের রেলপাড়ে থাকেন৷ সেখান থেকে নিয়ম করে তাঁকে সেখানে আসতে হয়৷ অথচ কোনও পড়ুয়া নেই স্কুলে৷ তাই তিনি অব্যাহতি চেয়েছেন৷ ফিরোজের দাবি, তিনি বিষয়টি প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েছেন৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি৷ অন্য কেউ হলে আবেদন গ্রাহ্য হবে প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে বলে ফিরোজের দাবি৷ 

কেন এই পরিস্থিতি? জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, উর্দুর জন্য চতুর্থ শ্রেণি পাশ করে পঞ্চম শ্রেণি বা উচ্চতর শিক্ষার জন্য হয় কাউকে আসানসোল যেতে হবে, না হয় তাকে কলকাতায় যেতে হবে৷ তাই পড়ার আগ্রহ কমেছে৷ গোড়ার দিকে শতাধিক ছাত্রছাত্রী থাকলেও পরে তা ক্রমশ কমতে কমতে শূন্যতে এসে ঠেকেছে৷ তাই এলাকার বাসিন্দারাও ওই জায়গায় একটি ইংরেজি মাধ্যম বা বাংলা মাধ্যম স্কুলের দাবি জানিয়েছেন৷ 

এই পরিস্থিতিতে শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্থানীয় কাউন্সিলর মহম্মদ আলি গোটা বিষয়টি উত্থাপন করেন৷  এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয় ও উর্দু স্কুলটিকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পরিণত করার দাবি জানান৷ তখনই এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন৷

কোন মন্তব্য নেই: