হাওড়ায় ঘর থেকে উদ্ধার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ঝলসানো মৃতদেহ - Aaj Bikel
হাওড়ায় ঘর থেকে উদ্ধার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ঝলসানো মৃতদেহ

হাওড়ায় ঘর থেকে উদ্ধার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ঝলসানো মৃতদেহ

Share This

হাওড়া  : হাওড়ায় ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার আগুনে ঝলসে যাওয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়র মৃতদেহ। শনিবার গভীর রাতে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার অনন্তদেব মুখার্জি লেনে বাড়ির দোতলা ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়র শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৫৫)। পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শান্তনুবাবু পূর্ত দপ্তরের পাবলিক হেলথ বিভাগের কর্মী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

জানা গেছে, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন শান্তনুবাবু। দ্বিতীয় স্ত্রী নিউ আলিপুরে থাকেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। হাওড়ার দোতলা বাড়ির দোতলার ঘরে একাই থাকতেন শান্তনুবাবু। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে তাঁর মা থাকেন বাড়ির একতলার ঘরে। রবিবার সকালে আশপাশের বাসিন্দারা ওই বাড়ি থেকে পোড়া গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থানে পৌঁছায় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। খবর দেওয়া হয় চ্যাটার্জিহাট থানায়। এরপর উদ্ধার করা হয় দেহ।

শান্তনুবাবুর মা বন্দনা মুখোপাধ্যায় (৭৮) জানান, রাতে ঘুমের মধ্যে তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। তাঁর ছেলের স্ত্রী নিউ আলিপুরে থাকেন। ছেলে শান্তনু দোতলার ঘরে একাই শুত বলেও জানান তিনি। বন্দনাদেবীর পরিচারিকা মালতি দাসই প্রথম ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢোকেন। দেখেন ঘরের সবজিনিস পুড়ে কালো হয়ে গেছে। সোফার উপরে আগুনে ঝলসানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে শান্তনুবাবুর দেহ। ঘটনার খবর পেয়েই আসেন চেয়ারমার্সন ঋতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, শান্তনুবাবু অত্যন্ত মিশুকে ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয় গুপ্ত জানা, শান্তানুবাবু অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। শিবপুরের তৎকালীন বি ই কলেজ ( বর্তমান IIEST) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম শ্রেণির স্নাতক হয়ে রাজ্যসরকারের পাবলিক হেলথ বিভাগে কাজে যোগ দেন।  ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলেই মনে করছেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাঝেমধ্যেই বিছানায় সিগারেট খাওয়ার কারণে বিছানা পুড়িয়ে ফেলতেন তিনি। রাতে সেই সিগারেটের আগুন থেকে ঘরে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া শর্ট সার্কিট বা ঠান্ডার কারণে ঘর গরম রাখতে কোনও রকমের আগুন ঘরের ভেতরে জ্বালানো হয়েছিল কি না, সব কিছুই ক্ষতিয়ে দেখছে দমকল। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই: