নির্মল জেলার অজানা কথা, উন্নয়নের ছিঁটেফোটা জোটেনি গলসীর বাগোড়াডাঙায় - Aaj Bikel
নির্মল জেলার অজানা কথা, উন্নয়নের ছিঁটেফোটা জোটেনি গলসীর বাগোড়াডাঙায়

নির্মল জেলার অজানা কথা, উন্নয়নের ছিঁটেফোটা জোটেনি গলসীর বাগোড়াডাঙায়

Share This

দুর্গাপুর : নামেই নির্মল জেলা। টাকা জমা দিয়েও শৌচাগার জোটেনি গ্রামবাসীদের। এমনকি বছরখানেক আগে ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা জোটেনি। রাস্তাঘাট থেকে নিকাশী, বার্ধক্যভাতা থেকে আবাস যোজনা। চরম বঞ্চনার শিকার। এমনই নজিরবীহন আদিবাসী গ্রাম পুর্ব বর্ধমানের গলসী-১ নং ব্লকের আদিবাসী অধিষ্যুত বগোড়াডাঙা গ্রাম। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নয়নে।


পুর্ব বর্ধমান জেলার গলসী-১ নং ব্লকের বাগোড়াডাঙা। বুদবুদের কসবা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার মেঠো রাস্তা পেরিয়ে ওই গ্রাম। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় জানান দিচ্ছে মোরাম পড়েনি। তার ওপর আগছার জঙ্গল গজিয়ে উঠেছে রাস্তায়। আদিবাসী অধিষ্যুত গ্রামটিতে ৫০ টি পরিবারের বসবাস। সবাই দিন মজুর। গ্রামে ঢুকতে নিজেদের চরম বঞ্চনার ক্ষোভ তুলে ধরলেন গ্রামবাসীরা। বছর সত্তোরের মোটু বাস্কে একরাশ ক্ষোভ উগরে জানান," যতবার ভোট হয়, ততবার ভোটের আগে সবদলই বলে যায় রাস্তাটা ঢালাইয়ের করে দেব। তারপর আর দেখা পাওয়া যায় না। বাড়ীর ওপরদিয়ে নর্দমার জল যাচ্ছে। সরকার বলে সবাই পাকা বাড়ী পাবে। আর আমরা বাড়ী ভেঙে পড়লেও একটা ত্রিপল পায় না। বার্ধক্য ভাতার নাম শুনেছি কিন্তু গ্রামে গোটা দশেক বৃদ্ধ। কারও কপালে জোটেনি।"

শৌচাগারের প্রশ্ন করতেই বছর পঁচিশের এক গৃহবধু দুলি টুডু এগিয়ে এসে সপাটে জানায়," বছরখানেক আগে ১০০ টাকা করে জমা নিয়েছে ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার। তারপর আর দেখা নেই। শৌচাগার তৈরী দুর অস্ত, একবছর আগে ১০০ দিনের কাজের টাকা পর্যন্ত পায় নি।" আর এক গৃহবধূ দুঃখি বাস্কে। তিনি জানান," গর্ভবতী মায়েদের মাতৃযান আছে। কিন্তু আমাদের গ্রামে ঢোকে না। প্রায় ৩ কিলোমিটার প্রসুতিকে খাটিয়ায় নিয়ে যেত হয়। তারপর সেখান থেকে মাতৃযানে হাসপাতাল নিয়ে যায়।" কিছুদিন আগেই কাঁকসার জঙ্গলমহলের সভায় আদিবাসী এলাকায় উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 রাজ্যে আদিবাসীরা যে চরম বঞ্চনার শিকার তা বাগোড়াডাঙা চোখে আঙ্গুল দিয়ে প্রমান করে। তবে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত লোয়াকৃষ্ণরামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নাজিমুল ইসলাম মোল্লা সাফাই,"রাস্তা থেকে গৃহনির্মান, নিকাশী, শৌচাগার সবই প্রস্তাবে ধরা আছে। সামনের মার্চে মাসে সব কাজ হয়ে যাবে।" প্রশ্ন, যে রাস্তা, শৌচাগার ও আবসযোজনার গৃহ গত ছ'বছরে নির্মান হল না, সেসব তিনমাসে কিভাবে নির্মান হবে? প্রশ্ন থেকেই যায়।

কোন মন্তব্য নেই: