বীরভূম : সম্পর্ক প্রায় শেষের মুখে ছিল। নানা পারিবারিক সমস্যার কারনে অবশেষে ডিভোর্স চেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন এক দম্পতি। বিচার চলাকালীন বিচারক দম্পতিকে সম্পর্ক শুধরে নিয়ে ভাল ভাবে জীবন কাটানোর কথা বলেন। এর জন্য বিশেষ এক নির্দেশিকা বিচারক নিজের পকেটের খরচে দম্পতিকে হোটেলে সময় কাটানোর নির্দেশ দেন। অভিনব মানবিক এমন নির্দেশিকায় আপ্লুত বিবাদি সেই দম্পতি।
আদালতের নির্দেশ মোতাবেক দম্পতি প্রথম দিন রাত কাটালেন সিউড়ির একটি হোটেলে। আর প্রথম রাত কাটানোর পরেই নতুন করে ঘর বাঁধার ইচ্ছায় এগিয়ে চলেছে সেই দম্পতির সম্পর্ক। এমনটাই দাবী তাদের। ঘটনাটি সিউড়ি শহরে শোনার পর কিছু হাস্যকর ভাবে নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সেই সঙ্গে আদালতের বিচারকের এমন ভূমিকায় প্রশংসা করেছেন আইনজীবি মহল থেকে আম জনতা। কারন সকলের অভিমত এমন দৃশ্য শুধু সিনেমাতেই দেখা গেছিল। কিন্তু এবার বাস্তব দেখলেন সবাই।
আদালতের এমন নির্দেশে খুশি দম্পতির দুই পরিবারও। পরিবারের লোকেরাও চান তারা যেন সুখে শান্তিতে থাকে। অভিনব এই ঘটনার সাক্ষী বীরভূমের সিউড়ির জেলা আদালত। আর যিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি হলেন বিচারক পার্থসারথী সেন।
সিউড়ি আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মার্চ মাসে সিউড়ির বাসিন্দা গৌতম দাসের সঙ্গে বিবাহ হয় নদীয়ার বাসিন্দা অহনা দাসের সঙ্গে। আর সেই বছরেই স্বামী শ্বশুর এবং দেওড়ের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন অহনা। সেই মামলা এতো দিন সিউড়ি আদালতে চলছিলই। মামলার পর একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগের ঘটনার পর সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবি এবং বিচারকের উদ্দোগ্যে এই মামলা নিল নয়া মোড়। শুনানি চালাকালীন বিচারক দু’পক্ষের যুক্তিই ভালভাবে শোনে। দু’জনেরই অভিযোগের ধরন প্রায় একই। মারধর, অশান্তি তৈরি ইত্যাদির চেনা ছকেই এগিয়েছে দাম্পত্য অশান্তি। সাধারণত দেখা যায় এই সব অশান্তির ক্ষেত্রে আদালত দম্পতিকে একসঙ্গে থাকার নির্দেশ দেন। তাতে যদি ঝামেলা চুকে গেল তো ঠিক আছে
তা না হলে আইন আইনের পথ ধরে দুজনকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত বহাল রেখে দেয়। এদিন আদালতে এই মামলার সরকারি আইনজীবি রঞ্জিত গাঙ্গুলী মামলা চলা কালীন বিচারককে জানান, এই মামলা নিতান্তই একটা পারিবারিক অশান্তির ঘটনা। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু কিছু অভিমানের জের। এই দম্পতিকে পরিবারের থেকে কিছুদিন আলাদা ভাবে শুধু মাত্র একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর অনুমোতি দেওয়া হোক। সরকারি আইনজীবির এহেন আবেদনের পর বিচারক নিজের খরচে তাদের হোটেলে রাখার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার থেকেই সরকারি আইনজীবির উদ্যোগে সিউড়ি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন