অজয় মজুমদার: রবীন্দ্রনাথ বারবার ভারতের বৈশিষ্ট্যের দিকে দৃষ্টি ফেরাতে চেয়েছেন৷ সেই ভারতবর্ষের দিকে পর বালিয়া যে কাউকে দূর করে নাই, অনার্য বলিয়া যে কাউকে বহিষ্কৃত করে নাই, অসংযত বলিয়া যে কাউকে উপহাস করে নাই৷ এই সনাতন ভারতবর্ষ সমস্তই গ্রহণ করিয়াছে, সমস্তই স্বীকার করিয়াছে৷
অথচ আজকের ভারত প্রাণপণে অস্বীকার করে চলেছে নির্যাতিত মানুষের আশ্রয়ের প্রার্থনাকে৷ রোহিঙ্গা আজ নিজের দেশ মায়ানমার থেকে বিতাড়িত৷ দেশ ছেড়ে চলে এসেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে৷ খুব সামান্য মানুষ ভারতে আমার চেষ্টা করছে৷ ঠিক সেই সময় অসমের কাছাড় ঘেঁষা জিরিবাম জেলা থেকে ১০৭ জন বাংলা দেশিকে চিহ্নিত করে পুলিশ পুশব্যাক করার তোড়জোড় করছে৷ এদের মধ্যে রোহিঙ্গা থাকতে পারে৷
২০১১ সালের সুমারি অনুযায়ী চাকমা-হাজাংদের সংখ্যা মাত্র ৪৭.৪৭১৷ কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেই সংখ্যা লক্ষাধিক বলে প্রচার চলে৷ নতুন শরণার্থী আসার গুজব ভিত্তিহীন৷ তিব্বতিদের সঙ্গে চমকাদের এক করে দেখা ঠিক নয়৷ কারণ তিব্বতিরা তিব্বতেই ফিরতে চায়৷ হাজংরা কিন্তু আদতে ভারতীয় এবং তারা ভারতেই থাকতে চায়৷
২০১১ সালের সুমারি অনুযায়ী চাকমা-হাজাংদের সংখ্যা মাত্র ৪৭.৪৭১৷ কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেই সংখ্যা লক্ষাধিক বলে প্রচার চলে৷ নতুন শরণার্থী আসার গুজব ভিত্তিহীন৷ তিব্বতিদের সঙ্গে চমকাদের এক করে দেখা ঠিক নয়৷ কারণ তিব্বতিরা তিব্বতেই ফিরতে চায়৷ হাজংরা কিন্তু আদতে ভারতীয় এবং তারা ভারতেই থাকতে চায়৷
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভারত সরকার একটি হলফনামা পেশ করেছে৷ এই হলফনামায় বলা হয়েছে - ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠনগুলির যোগসাজশ রয়েছে৷ তা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে ঝুঁকির৷ যদিও এই অভিযোগ প্রমাণিত নয়৷ বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও সম্পূর্ণ অসত্য৷ ঢাকাও চায় রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো বিষয়ে ভারত যেন পাশে থাকে৷ ভারত আজ আর শরণার্থীদের কোন দায়ই নিতে চায় না৷ বরং বহুদিন আগে আসা মানুষদের পুশব্যাক কবার৷ যত তোড়জোড় চলছে৷ মায়েনমার সেনাবাহিনীর সীমাহীন অত্যাচার রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে৷ তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এই অত্যাচারই কি একদিন উগ্রপন্থী তৈরি করতে সাহায্য করবে না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন