পর্ষদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, প্রশিক্ষণ নিয়েও অনিশ্চয়তা চরমে - Aaj Bikel
পর্ষদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, প্রশিক্ষণ নিয়েও অনিশ্চয়তা চরমে

পর্ষদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, প্রশিক্ষণ নিয়েও অনিশ্চয়তা চরমে

Share This
প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগের জন্য টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) পরীক্ষায় বসার অনলাইন আবেদন শুরু হতেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ২০১৫-১৭ বর্ষের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিইএলইডি) কোর্সের প্রথম বর্ষের রেজাল্টই জেলায় বের হয়নি। দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাও হয়নি। ফলে উত্তর দিনাজপুর জেলার হাজারও ছাত্রছাত্রী টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ঘটনায় তাঁরা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ।


তাঁদের দাবি, ২০১৫-১৭ বর্ষের ডিইএলইডি কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা যাতে টেটে আবেদন করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসন শীঘ্র উদ্যোগ নিক৷  এই দাবিতে ইসলামপুর সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে তাঁরা স্মারকলিপিও দেন৷


এনিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলিও। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি শুভংকর কর্মকার বলেন, সরকারি উদাসীনতায় বঞ্চিত হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। ২০১৫-১৭ বর্ষের ডিইএলইডি কোর্সের সময় সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও রেজাল্ট দেওয়া হয়নি। ২০১৬-১৮ বর্ষের কোর্সের দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও রেজিস্টেশন করা হয়নি। সরকারের উদাসীনতায় ২০১৫-১৭ বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা টেটে বসার আবেদন করতে পারছেন না। এবিষয়ে আমরা আন্দোলন করব। এবিভিপি’র জেলা কনভেনার রথীন রায় বলেন, ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চনার বিষয়ে আমরা জেলাব্যাপী আন্দোলন করব। তাদের সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান জাহিদ আলম আরজু বলেন, টেটের জন্য সরকারি যে নিয়ম ঘোষণা হয়েছে তাই থাকবে৷


২০১৫-১৭ বর্ষের ডিএলইডি কোর্সের ছাত্রছাত্রী সাথি দাস, হায়দার আলি, অনিকেত রায়রা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, আমাদের প্রথম বর্ষের রেজাল্ট ২০১৬ সালের জুন মাসে বের হওয়ার কথা ছিল। ২০১৭ সালে জুন মাসে দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের কোর্সের সময় সীমা শেষ হয়েছে। আমরা এখন কলেজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রথম বর্ষের রেজাল্টই পাইনি। দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাও হয়নি। এটা আমাদের ব্যর্থতা নয়। এনসিটিই নিয়ম অনুসারে আমাদের টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। বিগত বছরগুলিতে টেটে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছে। পরে তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷


জেলায় দু’টি সরকারি প্রথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। প্রায় এক ডজন বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। প্রশিক্ষণ ছাড়া এবার টেটে বসা যাচ্ছে না। এতেই মাথায় হাত পড়েছে ২০১৫-১৭ বছরের ডিএলইডি কোর্সের ছাত্রছাত্রীদের৷

কোন মন্তব্য নেই: