শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি, কীভাবে করবেন আবেদন? - Aaj Bikel
শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি, কীভাবে করবেন আবেদন?

শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি, কীভাবে করবেন আবেদন?

Share This
আজ বিকেল: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য চাপানো হয়েছে বেশ কিছু শর্ত৷ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কাল থেকে নিয়োগের আবেদন জানাতে পারবেন তিনি৷ আগামী ২৯-১০-২০১৭ পর্যন্ত আবেদন পাঠানো যাবে৷ আবেদনের জন্য চাকরি প্রার্থীকে দিতে হবে ফি৷ তফসিলি প্রার্থীদের জন্য ২৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে৷ সাধারণ প্রার্থীদের দিতে হবে ১০০টাকা৷ অনলাইনে আবেদন পাঠানো যাবে http://www.wbbpe.org এই লিঙ্কে৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য৷ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি৷ 

বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) কবে নেওয়া হবে তা পরে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার জানিয়েছেন, ‘এই সরকারের আমলে এটা নিয়ে তিনবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে৷’
এদিন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতামানের বেশ কিছু বদল আনা হয়৷ পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রাথমিকে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জন্য দু’বছরের প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থীরাই এই নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন৷  উচ্চমাধ্যমিকে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক বলেও জানানো হয়েছে৷ প্রশিক্ষণহীনরা আবেদনে সুযোগ পাবেন না৷


জানানো হয়েছে, এবার পুরোপুরি অনলাইনেই আবেদন করতে হবে। গত টেটের মাধ্যমে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। এদিকে, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের শূন্য শিক্ষক পদে এখনও নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি আইনি জটিলতায়। যদিও সফল প্রার্থীদের ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নেওয়া উচ্চ প্রাথমিকের টেট-এর ফল গত বছর প্রকাশিত হলেও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এক্ষেত্রেও বাধা মামলা। এগুলির বর্তমান পরিস্থিতি কী, সে ব্যাপারে এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কোনও মন্তব্য জানা যায়নি।


ফলে এ বার প্রাথমিকের টেট -এ আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই কমে যাবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে৷ যদিও তৃণমূলের আমলে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রের (ডিএলএড ) সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ছয় শতাধিক৷ উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের (টেট ) ফল গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর একইসঙ্গে বেরিয়েছিল৷ ইতিমধ্যে প্রাথমিকে ৪২ হাজারের বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকের সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও অগ্রগতি নেই৷ এমনকী কতজন প্রার্থীকে এসএসসি ভেরিফিকেশনের জন্য ডেকেছে , তা নিয়েও মুখ খুলতে নারাজ বিকাশ ভবন এবং এসএসসি কর্তারা৷


উচ্চ প্রাথমিকের টেট-এর ফলপ্রকাশের এক বছর পর আজও কমিশন জানায়নি কত জন উত্তীর্ণ হয়েছে৷ কত জন শিক্ষকতার প্রশিক্ষণপ্রান্ত, তা-ও অজানা৷ সরকারি তরফে দাবি, মামলার জন্যই এই অচলাবস্থা৷ অবশ্য গত বছরের ২৭ নভেম্বর মাধ্যমিক ও ৪ ডিসেম্বর উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর সফল প্রার্থীদের ভেরিফিকেশন শেষ৷


সূত্রের খবর , উচ্চ মাধ্যমিকে ১৪ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ হয়েছে ৬ হাজারের বেশি সফল প্রার্থীর৷ বিজ্ঞাপনের সময় শূন্যপদ ছিল ৬ হাজার ২৯৬৷ আর পুজোর ছুটির পরই মাধ্যমিকে নিয়োগের জন্য ১২ হাজার প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকার কথা৷ ১০ হাজার ২৩৩ টি শূন্যপদের জন্য বিজ্ঞন্তি বেরিয়েছিল৷ আরও কিছু প্রার্থীকে ডাকা হতে পারে৷ একরাশ সংশয় নিয়েই রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফল শর্তসাপেক্ষে প্রকাশ করেছিল এসএসসি৷ কমিশনের কর্তাদের কথায় , আদালতের নির্দেশ আছে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য স্কুলে স্কুলে প্রার্থীদের সুপারিশ পাঠানো যাবে না৷ তাঁরা সেটা মানছেন৷ তাই পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে , উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে একই রাস্তায় হাঁটছে না কেন?

কোন মন্তব্য নেই: