প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপযুক্ত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ না থাকলে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিলের পর থেকে আর চাকরি থাকবে না৷
রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার৷ এই সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শেষবারের মতো অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷ ১৫ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৩০ অগস্ট এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ এ বিষয়ে বিশদে জানতে www.dled.nios.ac.in-এ৷
সম্প্রতি, অনিশ্চয় কেন্দ্রের চিঠি, অনিশ্চয়তার মুখে পড়েন রাজ্যের প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ ২০ অগস্টের মধ্যে রাজ্যে কত জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণহীন, তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়৷
একইসঙ্গে ২০১৯-এর ৩১ মার্চের মধ্যে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণহীনদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ না থাকলে ২০১৯-এর ১ এপ্রিল থেকে সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি থাকবে না।
রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হলে, প্রশিক্ষণহীনদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিংকে (এনআইওএস) জানাতে হবে। সেই তথ্য পাওয়ার পর আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিএলইএডের সিলেবাস রাজ্যকে পাঠিয়ে দেবে এনআইওএস। কেন্দ্রের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত প্রশিক্ষণহীনরা প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২ অক্টোবর এনআইওএস, কেন্দ্রীয় সরকারের 'স্বয়ম' পোর্টালে প্রশিক্ষণের মেটিরিয়াল আপলোড করবে। ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে কোর্স।
প্রাথমিকের যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ না পায়েও ডিএলইএড-এ ভর্তি হয়েছেন, তাঁদেরও ওপেন স্কুলিং-এর মাধ্যমে ফের উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা দিতে হবে এবং পেতে হবে আবশ্যিক ৫০ শতাংশ নম্বর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন