'আমরা সপ্তাহে অন্ততঃ দুবার শারীরিক মিলন উপভোগ করে চলেছি' - Aaj Bikel
'আমরা সপ্তাহে অন্ততঃ দুবার শারীরিক মিলন উপভোগ করে চলেছি'

'আমরা সপ্তাহে অন্ততঃ দুবার শারীরিক মিলন উপভোগ করে চলেছি'

Share This

প্রশ্ন: বয়স ১৯ বিএ পড়ি৷ গত তিন বছর যাবত্‍ আমার কোচিংয়ের শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমে আবদ্ধ৷ লাস্ট কয়েকমাস যাবত্‍ আমরা সপ্তাহে অন্ততঃ দু’বার শারীরিক মিলন উপভোগ করে চলেছি৷ বর্তমানে ওনার বয়স ৫৬৷ আমরা দু’জনে বাড়ির অমতে বিয়ে করতে চাই৷ যেহেতু দু’জনের বয়সের পার্থক্য অনেক বেশি সেহেতু আইনি বা অন্য কোন সমস্যা হতে পারে কি? 

উত্তর: বয়সের পার্থক্যের কারণে আইনি সমস্যা হয়তো কিছু হবে না কারণ আপনারা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক৷ তবুও এব্যাপারে যে কোনও আইনি বিশেষজ্ঞ আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন৷ অন্য কোনও সমস্যা বলতে আপনি কি জানতে চাইছেন ঠিক স্পষ্ট নয় তবুও কতগুলো সম্ভাব্য সমস্যা সম্পর্কে আপনার আগাম সচেতন হওয়া উচিত্‍ বলে আমার ধারণা৷ এক- শুধুমাত্র যৌন মিলনকে আইনি স্বীকৃত দেওয়ার জন্যই বিয়ে করতে চাইছেন কিনা ভেবে দেখুন৷ দুই- বর্তমানে ৫৬ বছর বয়সী প্রেমিক আপনাকে সেক্সুয়ালি ‘স্যাটিসফাই’ করতে পারছেন বলেই আগামী দিনেও সমানভাবেই পারবেন কিনা ভেবে দেখা দরকার, না পারলে সেই ‘ক্রাইসিস’ পিরিয়ডকে মানিয়ে নিয়ে বাকি জীবনটা তার সঙ্গে কাটাতে পারবেন তো? তিন- যার বয়স ৫৬ তার শারীরিক এবং মানসিক ওরিয়েন্টেশনটাই একেবারে অন্যরকম হবে ১৯ বছরের তুলনায়৷ যৌন মিলনের এক ঘেয়েমির পর বাকি সংসার ধর্ম পালন করতে গিয়ে তার উপর বিরক্ত হলে কিন্ত্ত চলবে না৷ চার- আপনার প্রেমিক যখন আপনার স্বামী হবেন তখন বাকি জীবনটা তার সেবাতেই আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হবে কারণ ৫৬ বছর বয়সে ক্রমাগত বিভিন্ন জড়াগ্রস্ত অবস্থা ও রোগভোগের চান্সটা খুবই প্রাসঙ্গিক৷ পাঁচ- আপনি তার সেবা করলেও প্রতিদানে তার কাছ থেকে কতটা ভালোবাসা, ‘কেয়ার’, ‘রেসিপ্রোকাল ইমোশনাল ইন্টার অ্যাকশান’ পাবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায় কারণ ইচ্ছা থাকলেও তার বৃদ্ধাবস্থার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বয়স কি তাতে পারমিট করবে? 

ছয়- টিনএজে শিক্ষকের ব্যক্তিত্বতে মোহিত হয়ে তার প্রেমে পড়াটা এমন কিছু আনকমন ইনসিডেন্ট নয়৷ তার মধ্যে যখন ‘অনুঘটক’ হিসেবে যৌন মিলনও উপস্থিত৷ কিন্ত্ত বিয়ের দায়িত্ব আপনি কতটা পালন করতে পারবেন এবং সর্বোপরি ৩৭ বছরের গ্যাপের সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো মানসিক দৃঢ়তা আপনার আছে কিনা ভেবে দেখবেন৷ সাত- আর কয়েক বছর পর আপনার প্রেমিকের পরিশ্রম করার ক্ষমতা কমে আসতে থাকলে পুরো অর্থকরী দায়িত্ব আপনার উপর এসে পড়বে৷ তার জন্যও নিজেকে যথেষ্ট সাউন্ড করতে হবে৷ এছাড়া পর্যাপ্ত টাকা পয়সার জোগান রাখতে হবে ওনার হঠাত্‍ ঘটে যাওয়া কোনও বড় অসুখকে কন্ট্রোল করতে হলে৷ আট- জীবনবিমা সংক্রান্ত হ্যাজার্ডস নিয়েও বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে রাখবেন৷ নয়- যদি সন্তান চান সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবেন কিনা বিয়ের আগে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন৷ দশ-বিয়ের আগে অন্ততঃ একশোবার ভেবে দেখবেন যিনি শিক্ষকতার সময়ে যৌন মিলন কামনা করেন তিনি দাম্পত্য জীবনে ‘শিক্ষকতা’ করতে উদ্যত হবেন না তো!

কোন মন্তব্য নেই: