মিডিয়াতে সযত্নে নারী-বিষয়ক খবর করার আর্জি কর্মশালায় - Aaj Bikel
মিডিয়াতে সযত্নে নারী-বিষয়ক খবর করার আর্জি কর্মশালায়

মিডিয়াতে সযত্নে নারী-বিষয়ক খবর করার আর্জি কর্মশালায়

Share This

কলকাতা  :  প্রচারমাধ্যমে জেন্ডার অর্থাৎ নারী-বিষয়ক খবরের ওপর আরও যত্নশীল হওয়া দরকার বলে মনে করেন চিন্তাশীলদের একটা অংশ। রবিবার ’আজকের প্রচারমাধ্যম’ শীর্ষক এক আলোচনাচক্রে বিষয়টির ওপর আলোকপাত করেন দুই সমাজকর্মী। আয়োজক ছিল ’হিন্দুস্থান সমাচার’, উপলক্ষ ছিল মাসিক ’নবোত্থান’-এর তৃতীয় বর্ষপূর্তি। অনুষ্ঠানস্থল কলকাতা প্রেস ক্লাব।

মূল আলোচনায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সৈয়দ তনভীর নাসরিন বলেন, “মিডিয়ায় জেন্ডার ভায়োলেন্স যতটা গুরুত্ব পায়, এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাজা নিয়ে ততটা লেখালেখি হয় না। ফলে মার্কিন মিডিয়ায় গুরুত্ব পায় এ দেশের নারীর নিরাপত্তাহীনতা। কিন্তু দোষীদের অনেকের সাজা হচ্ছে। সে খবরগুলিরও তো প্রচারমাধ্যমে গুরুত্ব পাওয়া উচিত!“

তনভীর বলেন, “মার্কিন মুলুকে কিছু জায়গায় নারী-নির্যাতন ভারতের অনেক জায়গার চেয়ে বেশি। এর একটা বড় কারন, ও দেশে মহিলারা তাঁদের অধিকার সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। এই সচেতনতা এখানেও দরকার। এ ব্যাপারে এখানকার মিডিয়াকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আবেদন করেন তনভীর।

এ দিনের কর্মশালায় প্রথমার্ধে এক আলোচনায় আনন্দবাজার পত্রিকার অ্যাসিস্টেন্ট এডিটর স্বাতী ভট্টাচার্য বলেন, সমাজে নারীদের বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য পাওয়া যেতে পারে আদমসুমারির গৃহস্থালীর সমীক্ষা, ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশন এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক নানা সাইটে। আমরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের গুন গেয়ে খবর লিখতে পারি। তাতে হয়ত কেউ লিখলেন এই প্রকল্পের জন্য মেয়েদের পড়াশোনার ঝোঁক বাড়ছে। কমছে কম বয়সে মা হওয়ার প্রবণতা। আবার, স্বাস্থ্যের সমীক্ষায় সেটা হয়ত প্রমাণিত হচ্ছে না। তাই চিত্রটা পাঠকের কাছে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে সাংবাদিককে তাঁর নিজের জানার আগ্রহ ও গভীরতা বাড়াতে হবে। প্রচারমাধ্যমে নারী এবং সামাজিক খবরের বিশেষ উপযোগিতার কথা বিশ্লেষণ করেন তিনি।

এ দিনের কর্মশালায় প্রথমার্ধে টিভি সাংবাদিকতার ওপর বলেন স্নেহাশিস সুর, এজেন্সি সাংবাদিকতা নিয়ে বলেন রণজিৎ রায়। রেডিও সাংবাদিকতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতার কথা শিক্ষার্থীদের কাছে জানান প্রবীন সাংবাদিক অম্বর মুখোপাধ্যায়।

কোন মন্তব্য নেই: