কলকাতা : স্কুল শিক্ষকদের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্কুলশিক্ষা দফতর। গৃহশিক্ষকতা ও আচরণবিধি নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রশ্ন জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ময়নাগুড়ির প্রধান শিক্ষকের জেরেই এই নয়া নির্দেশিকা কি না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।
কেবল শিক্ষক নয়, অশিক্ষকদেরও সতর্ক করা হয়েছে | স্কুলে শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না৷ পরীক্ষার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এ ছাড়া স্কুলে তাস খেলা যাবে না, ধূমপানও বরদাস্ত নয়৷ কেবল ক্লাস চলাকালীন নয়, ধূমপান, অন্য নেশা বা তাস খেলার ব্যাপারে স্কুলের বাইরেও আরোপ হয়েছে বিধি৷ আচরণবিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে পাবলিক প্লেস মানে সাধারণ মানুষ যান এমন যে কোনও স্থান, সেটা ট্রেনে-বাসেও হতে পারে।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনও শিক্ষক অথবা অশিক্ষক কর্মী লিপ্ত হতে বা কোনও দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন না। কোনও শিক্ষক কোনও রকম বানিজ্য অথবা টাকা ধার দেওয়ার কাজে লিপ্ত থাকতে পারবেন না। তবে প্রতিষ্ঠানের কমিটির অনুমতি নিয়ে অফিসের কাজে ব্যঘাত বা অসুবিধা না হলে কোনও দাতব্য সংস্থা, সামাজিক কাজ করতে পারেন।
লেখালেখির ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা পর্ষদ অথবা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবিভাগ অনুমোদিত কোনও বইয়ের কোনও রকম সহায়তার বা নোট বই বা এই ধাঁচের কোনও সংকলন শিক্ষকরা লিখতে পারবেন না। তবে, স্কুল কমিটির অনুমতি নিয়ে একক বা যৌথভাবে কেউ বই লিখতে পারেন। কিন্তু এর জন্য তাঁর কোনও আয় হলে ওপরওয়ালাকে বিশদ হিসেব দাখিল করতে হবে।
স্কুলের কোনও অধস্থন কর্মীকে ব্যক্তিগত কাজে লাগানোর ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর৷
দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, নির্দেশিকাগুলি আগেও ছিল। অনেকে জানতেন না, বা মানতেন না। শৃঙ্খলার জন্য় সবাইকে ফের জানানো হল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন