পাথারকান্দি : রহস্যজনকভাবে মারা গেলেন পাথারকান্দির পূর্ত বিভাগের এসডিই আব্দুল জলিল লস্কর (৫৭)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহকুমার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আব্দুল জলিল লস্কর মৃত্যুকালে রেখে গেছেন স্ত্রী এক পুত্ৰ ও কন্যা-সহ অসংখ্য গুনমুগ্ধদের।
খবরে প্রকাশ, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে বিজেপি-র সাফল্যে আজ পাথারকান্দিতে যখন জয়োৎসবের আয়োজন চলছিল, ঠিক তখনই পূর্ত বিভাগের এসডিই আব্দুল জলিল লস্করের মৃত্যু ঘটে সরকারি আবাসে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল এবং সার্কল অফিসার এল খিনতে, বিজেপি-র মণ্ডল কর্মকর্তা-সহ বিভাগীয় কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন।
জানা গেছে, গত সাত বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জলিল লস্করে এখানে কর্মরত ছিলেন। সরকারি আবাসে একা থাকতেন। আজ রবিবার সকালে ছুটির দিন থাকলেও পূর্ত ডিভিশনের অন্তর্গত বিভিন্ন সড়কের কাজ খতিয়ে দেখে সকাল ৯.৪৫ নাগাদ তাঁর কোয়ার্টারে ফেরেন। গাড়ির চালক সামসুল হককে গাড়ি ধলাইয়ের জন্য পাঠিয়ে বিশ্রামে যান ঘরে। কিন্তু দু-তিন ঘণ্টা কেটে গেলেও লস্করের কোনও সাড়া না পেয়ে ড্রাইভার সামসুল হক সালাম উদ্দিন নামের এক ঠিকাদারকে সঙ্গে এসডিইর ঘরে ঢুকে তাঁকে বিছানায় শয্যাশায়ী দেকে ডাকেন। পরে তাঁর শরীরে ধাক্কা দিয়ে আঁতকে উঠেন উভয়। ঘটনা চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি।
ডেকে পাঠানো হয় ডাক্তার মতীন্দ্র সূত্রধরকে। তিনি এসে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জলিল লস্করকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কার্ডিয়াক অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করছেন ডাঃ সূত্রধর।
এদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন