কাঁথি: দোল ও হোলির চারদিনের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে দীঘায়। অতিরিক্ত পাওনা হিসেবে শনিবার ও রবিবার সপ্তাহান্তের ছুটি। তাই চারদিনের টানা ছুটির সুবর্ণ সুযোগ! শীত কাটিয়ে হালকা গরম পড়তে শুরু করেছে। বসন্তের মনোরম আবহাওয়া আর মধুময় পরিবেশে পর্যটন শহর বা সৈকত সুন্দরী দীঘায় এই উৎসবের আনন্দে-উচ্ছাসে মেতে ওঠা কিংবা সমুদ্রের জলে গা ভিজিয়ে নেওয়ার সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চায়? তাই আমোদপ্রিয় বাঙালির গন্তব্য এখন দীঘাই। বুধবার বিকেল থেকেই দীঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বাসে, ট্রেনে, প্রাইভেট কারে চেপে পর্যটকরা দীঘায় আসতে শুরু করেছেন। বুধবার দিনভরই এমন ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
একই ছবি দেখা গিয়েছে মন্দারমণি, তাজপুর কিংবা শঙ্করপুর পর্যটন কেন্দ্রেও। টানা ছুটি থাকায় ব্যাপক ভিড় দেখে ওই পর্যটন কেন্দ্রগুলির হোটেল-লজ ব্যবসায়ীদের মুখে যেমন চওড়া হাসি ফুটতে শুরু করেছে, তেমনি ব্যাপক জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে জোরদার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। দীঘায় আগত পর্যটকদের বসন্তের এই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ দিতে দীঘার সৈকতে ‘রংয়ের উৎসব-২০১৮’ এর আয়োজন করছে পূর্ব মেদিনীপুর রিপোটার্স ফোরাম। এই উপলক্ষে শনিবার নিউ দীঘার মালঞ্চ গেস্ট হাউস প্রাঙ্গণে এক বর্ণময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নাচ-গান-আবৃত্তি যেমন থাকছে, তেমনি অনাথ ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সংবর্ধনা এবং শিক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানও রয়েছে। যা এক বাড়তি পাওনা হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সকলেই।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, কয়েকদিন আগে থেকেই দীঘার অধিকাংশ হোটেল-লজগুলি বুকড হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার হোটেল¬-লজগুলির বুকিংয়ের হার ১০০ শতাংশ ছুঁয়ে যাবে বলেই আমরা মনে করছি। আর এই হোলি উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন সহ বিশেষ মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও রাখছে বেশিরভাগ হোটেল কর্তৃপক্ষ। চারদিনের ছুটিতে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দীঘার সৈকতে অতিরিক্ত পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নেমে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং নজরদারির জন্য পর্যাপ্ত নুলিয়া মোতায়েন করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবারও দীঘার ওয়েলকাম গেট এবং ওড়িশার সীমান্তে বিশেষ চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি দীঘা কোস্টাল থানার পুলিসও সমুদ্রে নজরদারির দায়িত্বে থাকছে। সব মিলিয়ে দীঘায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন